আর মাত্র কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা। ষষ্ঠ বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন নীতিশ কুমার। দ্বিতীয়বার উপমুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন তেজস্বী যাদব। বুধবার বিকাল ৪টেয় ইউপিএর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নীতিশ কুমার। সূত্র অনুযায়ী শোনা যাচ্ছে তেমনটাই। মঙ্গলবার সকাল থেকে জল্পনার পর দুপুরেই বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন নীতীশ। বিকেলে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। রাজভবনে ইস্তফা দিয়ে সোজা চলে যান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবির বাড়ি। সেখানে গিয়েই আলোচনায় বসেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে। তার পরেই তেজস্বী এবং তাঁর দাদা তেজপ্রতাপের সঙ্গে হেঁটে পৌঁছে যান রাজভবনে। রাজভবন থেকে বেরিয়ে নীতিশ বলেন, ‘‘১৬৪ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে আমাদের। প্রত্যেক বিধায়ক সমর্থন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।’’ তারপরেই তেজস্বী বলেন, ‘‘সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে জনগণের মধ্যে শুধু বিভেদ তৈরি করতে পারে বিজেপি। দেখুন নিজের জোটশরিকদের কী করেছে বিজেপি। তাদের নির্মূল করতে চেয়েছে। পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্রের দিকে দেখুন। বিহারেও সেটাই করতে চাইছিল। আমরা বিহারে বিজেপির উদ্দেশ্য সফল হতে দেব না।’’
উল্লেখ্য, নীতিশকে ইতিমধ্যেই সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস, সিপিআইএমএল, সিপিএম, সিপিআই। বিরোধী মহাজোটের নেতা হিসেবে আবারও উঠে আসে নীতিশের নাম। এর পরেই তিনি রাজভবনে সরকার গড়ার দাবি নিয়ে যান। নীতিশ কুমার এনডিএ জোট ছাড়ার ঘোষণার পরেই বদলে যায় বিহারের পরিষদীয় রাজনীতির হিসেবনিকেশ। ফের একা হয়ে পড়ল বিজেপি। আরজেডি-জেডিইউ-কংগ্রেস-বামেদের পাশাপাশি মঙ্গলবার একত্রে শামিল হওয়ার কথা ঘোষণা করেছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতরাম মাঁঝির দল হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা (হাম)-ও। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় গরিষ্ঠতা প্রমানের জন্য প্রয়োজন ১২২ জন বিধায়কের সমর্থন। মঙ্গলবারের হিসাব বলছে, বিজেপি বিরোধী শিবিরে রয়েছে অন্তত ১৬৪ জন। এঁদের মধ্যে নীতিশ ১৬৩ জনের সমর্থন পেতে পারেন। আরজেডির ৭৯, জেডিউ-র ৪৫, কংগ্রেসের ১৯ এবং ১৬ জন বাম বিধায়কের পাশাপাশি হাম-এর চার জনও রয়েছেন নীতিশের পাশে। এমনকী একমাত্র নির্দল বিধায়ক, বিজেপি-ঘনিষ্ঠ সুমিত সিংহের সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে জেডিইউ। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাকফুটে বিজেপি।