দুই পথ ফের বেঁকে গিয়েছে দুই দিকে। ভেঙেছে জোট। মাত্র ২২ মাসের মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়েছে বিহারের ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার। বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করবে বলেই সাফ জানিয়েছে জনতা দল ইউনাইটেড। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে এসেছেন নীতিশ কুমার। ইতিমধ্যেই সম্ভাব্য নতুন মহাজোটের সরকারকে সমর্থন জানিয়ে হাত বাড়িয়ে রেখেছে কংগ্রেস। এবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে পাশে থাকার বার্তা দিল সিপিআইএমএল (লিবারেশন)। লিবারেশন নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের সাফ কথা, “বিজেপি চেয়েছিল বিহারেও নিজেদের একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করতে। উত্তর প্রদেশের মতো এখানেও বুলডোজার শাসন হোক। একদলীয় ব্যবস্থাই চাইছিল বিজেপি। ৩০, ৩১শে জুলাই জেপি নাড্ডা বিহারে এসে একটি সমাবেশে বলে গিয়েছিলেন, আঞ্চলিক দলের সময় শেষ। বিহারে অবিজেপি বিকল্প সরকার তৈরি হলে আমরা সমর্থন দেব।”
প্রশ্ন উঠছে, বিহারের নতুন সরকারে থাকবে সিপিআইএমএল (লিবারেশন)? দলের সাধারণ সম্পাদকের স্পষ্ট জবাব, “আমরা মহাজোটের বিকল্প সরকারে বাইরে থেকে সমর্থন দেব।” নীতিশ কুমার কি বিশ্বাসযোগ্য? সে প্রশ্নে দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের উত্তর, “নীতিশের থেকেও বিজেপি বড় বিপদ। বিজেপিকে বাইরে রেখে মহাজোটের সরকার তৈরি হলে লিবারেশন পাশে থাকবে।” প্রসঙ্গত, বিগত ২০২০ সালের ১০ই নভেম্বর বিহারে ক্ষমতায় এসেছিল এনডিএ জোট। সরকারে সংখ্যালঘু (৪৩ আসন) হয়েও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নীতিশ কুমারই। বড় শরিক বিজেপি (৭৪) নতুন মন্ত্রিসভায় নীতিশের ডেপুটি করে জুড়ে দিয়েছিল তারকিশোর প্রসাদ এবং রেণু দেবীকে। অন্যদিকে আসন সংখ্যার নিরিখে বিহার বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আরজেডি ৭৫ আসন নিয়ে বসেছিল বিরোধী আসনে। মহাজোটের আর দুই শরিক কংগ্রেসের ঝুলিতে ছিল ১৭ এবং লিবারেশেনর ১২। উল্লেখ্য, ২৪৩ আসন সংখ্যা বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১২২। নীতিশের দলের রয়েছে ৪৩। কংগ্রেস ইতিমধ্যে ১৭ বিধায়কের সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছে। সেক্ষেত্রে লালুপুত্র তেজস্বী যাদবের সমর্থন পেলে অনায়াসে সরকার গড়বেন নীতিশ। আর বামেদের সমর্থন তাঁর কাছে বাড়তি অক্সিজেন হয়ে দাঁড়াবে। স্বাভাবিকভাবেই এই সম্ভাবনা মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে পদ্মশিবিরের।