দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ধরে রাখতে এবার দলীয় নেতাদের আরও সতর্ক ও সাবধান হওয়ার বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জঙ্গিপুর, বহরমপুর ও মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে উপস্থিত নেতৃত্বকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, নিজের লোক বলে যাঁকে তাঁকে পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়া যাবে না। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এবং সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত মানুষের পাশে থাকা দলীয় কর্মীরাই ভোটে প্রার্থী হবেন। জেলা থেকে তালিকা এলেও তা যাচাই করে প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করবে দল।
প্রসঙ্গত, মালদহ ও দুই দিনাজপুর নিয়ে বৈঠকের পর বুধবার অভিষেক বৈঠকে বসেছিলেন মুর্শিদাবাদের তিন সাংগঠনিক জেলা নিয়ে। ছিলেন জেলার সব সাংসদ, বিধায়ক, যুব তৃণমূল এবং আইএনটিটিইউসি সভাপতি। ইতিমধ্যে বৈঠক হওয়া উত্তরবঙ্গের অন্য জেলাগুলির মতোই এই বৈঠকে উপস্থিত জেলা নেতৃত্বকে পঞ্চায়েত ভোটে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীদের দলের সামনের সারিতে রাখতে বলা হয়। রাজ্য সরকারের সামগ্রিক পরিষেবা গ্রামের মানুষ ঠিকঠাক পাচ্ছে কি না এবং জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষের পাশে থাকছেন কি না তা দেখতে বলা হয়েছে। জেলা নেতৃত্বের কাছে বিভিন্ন ব্লক নিয়ে খুঁটিনাটি জানতে চান স্বয়ং অভিষেক।
কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসে জঙ্গিপুর, বহরমপুর ও মুর্শিদাবাদ জেলার ব্লক কমিটি নিয়েও আলোচনা হয়। ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুব্রত বক্সি ছাড়াও জেলার দুই মন্ত্রী সুব্রত সাহা, আখরুজ্জামান, সাংসদ খলিলুর রহমান, সাংসদ আবু তাহের এবং বিধায়ক শাওনী সিংহরায়। এর আগে দুই দিনাজপুর ও মালদহের নেতা-নেত্রীদেরও অভিষেক জানিয়ে দিয়েছেন, ‘বুথে বুথে ঘুরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্প ও চালু নানা পরিষেবার কথা বলুন। নিজের লোক বলে কাউকে বুথে দলের দায়িত্ব দেবেন না। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মীদের দায়িত্বে নিয়ে আসুন।’ তাঁর নির্দেশ, ‘সকলকে নিয়ে সাধারণ মানুষের স্বার্থে রাজনীতি করতে হবে। নত মস্তকে মানুষের কাছে যেতে যাবে। কোথাও প্রশাসনিক ক্ষমতা জাহির করা যাবে না।’