বরাবর তাঁকে ‘প্রদীপদা’ বলে ডাকতেই পছন্দ করেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের বা মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করে আসছেন তিনি। অবশেষে এবার রাজ্য মন্ত্রীসভায় এলেন মমতার প্রদীপ মজুমদার। একুশের ভোটে দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী এবং বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরীকে পরাজিত করে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। এবার পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বরাবরই তৃণমূলে সর্ব স্তরের সঙ্গে প্রদীপবাবুর যোগাযোগ ভাল। নবান্নের অন্দর মহলের গুঞ্জন, বিভিন্ন সময় কৃষি প্রধান এলাকায় তার ফিল্ড ভিজিট কাজে এসেছে। এমনকি পরীক্ষামূলক ভাবে একাধিক চাষের বিষয়েও সরকারি তরফে উৎসাহ দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা আছে। একটা সময়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকেও মমতা বন্দোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যেত, ‘প্রদীপ দা আপনি বলুন’। ২০১৬ সালে নির্বাচনে লড়াইয়ে হেরে গেলেও মাটি কামড়ে পরে থেকেছেন তিনি৷
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক জায়গায় খারাপ ফল হয় তৃণমূলের। দূর্গাপুরের মতো আসনকে বারবার টার্গেট করেছে বিজেপি৷ যদিও শিল্পাঞ্চলের মাটিতে দাঁড়িয়ে জয় ছিনিয়ে আনেন তিনি। প্রশাসনিক স্তরের সঙ্গে কৃষকদের যোগাযোগের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন প্রদীপ মজুমদার তাই তাকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।