এবার সিআইডির তদন্তে বাধা দিল কেন্দ্রীয় পুলিশ। আটক হলেন বাংলার সিআইডির চার আধিকারিক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক জন ইনস্পেক্টর, দু’জন এসআই এবং এক জন এএসআই। সিইআইডির এই চার তদন্তকারীকে সাউথ ক্যাম্পাস থানায় আটক করেছে দিল্লী পুলিশ। ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের কাছ থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। সেই তদন্ত করতে গিয়ে দিল্লীর সাউথ ক্যাম্পাস থানা এলাকায় সিদ্ধার্থ মজুমদার নামে এক ব্যবসায়ীর খোঁজ পায় তারা। বুধবার সকালে দিল্লীর সাউথ ক্যাম্পাস থানা এলাকায় পৌঁছয় সিআইডির চার জনের ওই তদন্তকারী দল। সিআইডির তরফে জানানো হয়েছে, সিদ্ধার্থর বাড়িতে তল্লাশির জন্য তাদের কাছে সার্চ ওয়ারেন্ট ছিল। এবং সমস্ত প্রোটোকল মেনে সেই মতো সাউথ ক্যাম্পাস থানাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বুধবার সিআইডির দলটি সিদ্ধার্থর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গেলে সাউথ ক্যাম্পাস থানার পুলিশ তাদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এর পরই সাউথ ক্যাম্পাস থানায় নিয়ে গিয়ে বসিয়ে রাখা হয় সিআইডির ওই চার আধিকারিককে।
প্রসঙ্গত, সিআইডির তরফে দাবি করা হয়েছিল যে, হাওড়ার পাঁচলা এলাকায় বিধায়কদের গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত এই সিদ্ধার্থ। তাই তদন্তের স্বার্থেই সব রকম অনুমতি এবং ব্যবস্থা নিয়েই দিল্লী রওনা দিয়েছিলেন চার তদন্তকারী আধিকারিক। অভিযোগ, তদন্তে বাধা দিচ্ছে দিল্লী পুলিশ। রাজ্য পুলিশ সূত্রের খবর, সিআইডি এবং দিল্লী পুলিশের মধ্যে এই জট কাটাতে বুধবারই দিল্লী যাচ্ছেন রাজ্য পুলিশের তিন শীর্ষ কর্তা। এডিজি পদমর্যাদার এক আধিকারিক এবং দু’জন আইজি পদমর্যাদার আধিকারিক থাকতে পারেন এই দলে। সিআইডির তরফে টুইট করে দাবি করা হয়েছে, তাদের কাছে সার্চ ওয়ারেন্ট থাকা সত্ত্বেও দিল্লী পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। প্রমাণ হিসেবে টুইটে সেই সার্চ ওয়ারেন্টের কপিও ট্যাগ করেছে সিআইডি। গত শনিবার বিকেলে কলকাতা থেকে ঝাড়খণ্ডগামী একটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে নগদ টাকা উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছিল, গোপন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছিল, কলকাতা থেকে ঝাড়খণ্ডগামী একটি গাড়িতে গচ্ছিত রয়েছে প্রচুর টাকা। সেই অনুযায়ী পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিকেলে পাঁচলায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর রানিহাটি মোড়ের কাছে একটি কালো গাড়িকে থামানো হয়। তল্লাশি চালিয়ে তিন কংগ্রেস বিধায়কের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৪৯ লক্ষ টাকা। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, তিন কংগ্রেস বিধায়কের নাম রাজেশ কাশ্যপ, নমন দীক্ষিত এবং ইরফান আনসারি। জেরায় জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের সরকার ফেলার জন্য তাঁদের এই বিপুল অঙ্কের টাকা দিয়েছিল বিজেপি।