উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভা বলেছেন যে, আসন্ন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন একটি প্রতীকী লড়াই নয় এবং অনেক কিছু ঘটতে পারে। এটি পরিবর্তনের সময়। সংখ্যায় এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনকরের পক্ষে হওয়ায় প্রতীকী লড়াইয়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে আলভা এহেন মন্তব্য করেন। আত্মবিশ্বাসী মার্গারেটের সাফ কথা, “অনেক কিছুই ঘটতে পারে আসন্ন নির্বাচনে। সহজে জয় পাবেন না ধনকর। ২০টি দলের হয়ে লড়ছি। সংসদ ঠিকভাবে চলছে না। আমরা বিশ্বাস করি পরিবর্তনের সময় হয়েছে।” আগামী ৬ আগস্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ওইদিনই বেলা ফুরতে জানা যাবে ফলাফল। তার আগে বিরোধী প্রার্থী মার্গরেট আলভা জানিয়েদিলেন, এই নির্বাচন হল একটি আদর্শের লড়াই। এদিন তাঁর মুখে শাসক দলের প্রার্থীর সমালোচনাও শোনা যায়। বলেন, “ভারতীয় সংসদের গুরুত্বকে অক্ষুন্ন রাখা উপরাষ্ট্রপতির অন্যতম দায়িত্ব। শাসক জোট এমন একজনকে প্রার্থী করেছে, যিনি বাংলার দায়িত্বপালন করত গিয়ে একাধিক বিষয়ে সমালোচিত হয়েছেন। ভাবুন, সেই লোকটা উপরাষ্ট্রপতির পদে বসে আছে!”
আরও বলেন, “এই নির্বাচন সংবিধানের মূল্যবোধকে অক্ষুন্ন রাখার লড়াই। যার প্রতি আমরা সবাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দ্বিতীয়ত, গণতান্ত্রিক ভিত্তি রক্ষা করার দায়িত্ব রয়েছে আমাদের উপরে। যা বর্তমানে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে। তৃতীয়ত, বাক স্বাধীনতা রক্ষার লড়াই।” আসন্ন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে তৃণমূল সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রসঙ্গে মার্গারেট বলেন, “দেখা যাক কী হয়, আমি এখনও মনে করি, বিরোধীদের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে। প্রকাশ্যে বিজেপি বিরোধী তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যের নিজের এজেন্ডা রয়েছে।” উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে অনুরোধ করেন বিরোধী শিবিরের প্রার্থী মার্গারেট আলভা। টুইটে প্রাক্তন কংগ্রেস নেত্রী আলভা লেখেন, ‘এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকা বিরোধীদের সাহায্য করবে না। এতে সুবিধা হবে শাসকদলেরই।’ আলভা তৃণমূলকে স্মরণ করিয়ে দেন, এখনও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সময় রয়েছে। তৃণমূল সাংসদরা যাতে তাঁদের বিবেক অনুযায়ী ভোট দেন, নেতৃত্বকে সেই ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন তিনি।