উত্তরের জেলাগুলিতে পঞ্চায়েত প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটের নামে অশান্তি করা চলবে না। দু’দিনের সাংগঠনিক বৈঠকের নির্যাস পঞ্চায়েত ভোট। স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ভোট করতেই হবে, বার্তা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। উত্তর নিয়ে স্ট্র্যাটেজিতে বেশ কিছু চমক আনছে তৃণমূল। বালুরঘাট পুর ভোটের ফলকে হাতিয়ার করে প্রচারে থাকবে তৃণমূল। খারাপ ফলের কারণ নিজেদের মধ্যে মতান্তর। তা মেটাতে পারস্পরিক আলোচনায় যেতে বলা হয়েছে। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ নয়, দলের হয়ে যে কাজে আসবে তাকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে। আলিপুরদুয়ার-জলপাইগুড়ি জেলায় চা-বাগানে রোজ জনসংযোগের পরামর্শ। উত্তরের জেলায় রয়েছে একাধিক জনজাতি। তাদের সেন্টিমেন্ট বুঝে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার যেন সকলেই পান সেদিকে নজর। সবাইকে নিয়ে চলুন। যার যা বার্তা দলকে দিন। ব্লক স্তরে দায়িত্ব পাবে তারাই, যাদের পারফরম্যান্স ভালো। নিজের লোককে বসিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে।
উল্লেখ্য, কলকাতার নেতার সমাবেশে ভিড়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে উত্তরবঙ্গের ভোট বাক্সে সেই ভিড় দেখা যায় না। তাই নেতাদের আরও দায়িত্বশীল ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উত্তরের জেলাগুলি বিশেষ করে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলাজুড়ে তৃণমূলের ফল খারাপ নিয়ে বারবার আলোচনা হয়েছে। খারাপ ফলের কারণ খুঁজে দেখতে গিয়ে শাসক দল মনে করছে প্রধান কারণ নেতাদের নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস না রাখা। একই সঙ্গে নিজেদের কমফোর্ট জোন ছেড়ে না বেরনোর অভ্যাস। আর এই মৌরসিপাট্টায় ভেঙে দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, আগে মানুষের কাছে পৌঁছে যাও। মানুষের সঙ্গে কথা বলো। তাদের সমস্যার সমাধান করো। তারপর নেতা হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে ঘুরবে। তাই গত দু’দিনের উত্তরের ৬ জেলাকে নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে দল বুঝিয়ে দিয়েছে তাদের ফল চাই৷