কমনওয়েলথ গেমসে ইতিহাস গড়ল ভারত। লন বোলে এল স্বর্ণপদক। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৭-১০ পয়েন্টে হারাল তারা।কমনওয়েলথে এর আগে কোনও দিন পদক আসেনি। চতুর্থ স্থানই এত দিন সেরা ফল ছিল। বার্মিংহ্যামে বাজিমাত করলেন লাভলি চৌবে, রুপা রানি তিরকে, পিঙ্কি এবং নয়নমণি সাইকিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই ভাল খেলতে থাকে ভারত। এক সময় এগিয়ে যায় ৮-২ পয়েন্টে। এখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সমতা ফেরায় তো বটেই। তারা এগিয়ে যায় ১০-৮ পয়েন্টে। এর পর ভারতের ঘুরে দাঁড়ানো শুরু। ১৪ রাউন্ডের শেষে ১৫-১০ এগিয়ে যায় ভারত। শেষ রাউন্ডেও দুই পয়েন্ট পায় ভারত।
প্রসঙ্গত, সোমবারই লন বোলের ফাইনালে উঠে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন লাভলিরা। সাধারণ ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা অনেকেই জানেন না এই খেলাটি কমনওয়েলথ গেমসে রয়েছে। সেই অখ্যাত খেলাতেই এ বার বাজিমাত। লাভলি আগের দিনই আক্ষেপের সুরে জানিয়েছিলেন, এই খেলায় না আছে অর্থ, না আছে প্রাপ্য সম্মান। আন্তর্জাতিক কোনও প্রতিযোগিতায় খেলতে গেলে নিজেদের টাকা খরচ করে যেতে হত। কমনওয়েলথে সংস্থার তরফে খরচ দেওয়া হয়েছে ঠিকই। তবে এর আগে যখন তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন, তখন কটাক্ষও শুনতে হয়েছে তাঁদের।
উল্লেখ্য, ৩৮ বছরের লাভলি ঝাড়খণ্ড পুলিশে কর্মরত। রূপা থাকেন রাঁচিতে। ক্রীড়া বিভাগের সঙ্গে যুক্ত। দিল্লীর মেয়ে পিঙ্কি আরকে পুরমের একটি স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক। নয়নমণি অসমের বনবিভাগে কাজ করেন। ফাইনালে উঠে লাভলি বলেছিলেন, “আমাদের কাছে এই প্রতিযোগিতা অলিম্পিক্সের সমান। কারণ অলিম্পিক্সে এই প্রতিযোগিতা নেই। চার বছর আগে এক পয়েন্টের জন্য পদক হারিয়েছিলাম। এ বছর ইতিহাস তৈরি করলাম। আশা করি এ বার স্বীকৃতি মিলবে।” একদা লাভলি ১০০ মিটারের স্প্রিন্টার ছিলেন। নয়নমণি ছিলেন ভারোত্তোলক। নিজেদের খেলায় চোট পাওয়ায় দু’জনেই লন বোল বেছে নেন। আর সেই খেলাতেই দেশের মুখ উজ্জ্বল করলেন তিনি।
