গতবছর বাদল অধিবেশনের আগে প্রকাশ্যে এসেছিল পেগাসাস ইস্যুটি। এই ঘটনা সামনে আসার পর প্রায় এক বছর কেটে গিয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে একবছর আগে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল দেশজুড়ে। এখন অবস্য এই ইস্যু নিয়ে ততটা হইচই নেই। তবে গতবছর সংসদে এই নিয়ে ঝড় তুলেছিলেন বিরোধীরা। মামলা গড়িয়েছিল শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। এরপরই ঘটনা খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্ট একটি টেকনিকাল কমিটি গঠন করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল। পেগাসাস ‘আক্রান্ত’দের ফোন নিয়ে এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা ছিল এই প্যানেলর কাজ। এক সপ্তাহ আগে সেই রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছে।
এদিকে জমা পড়া প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু গোপনীয় রাখা হয়েছে। মামলার শুনানির পরবর্তী তারিখ এখনও নির্ধারণ করেনি সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা এবং বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং হিমা কোহলির সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চের সামনে মামলাটি ১২ অগস্ট তালিকাভুক্ত করা হতে পারে। জানা গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের গঠিত প্যানেল মোট ২৯টি ডিভাইস পরীক্ষা করে দেখেছেন।
অভিযোগ উঠেছিল যে রাহুল গান্ধী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের দেশের বিভিন্ন বিরোধী রাজনীতিকদের ফোন হ্যাক করা হয় পেগাসাস দিয়ে। একটি রিপোর্টে দীর্ঘ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল যেখানে সম্ভাব্য পেগাসাস ‘আক্রান্তদের’ নাম ছিল। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রভেন্দ্রনের নেতৃত্বে প্যানেল গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের গঠিত এই প্যানেলে রয়েছেন গান্ধীনগরের ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির ডিন নবীন কুমার চৌধুরী, কেরলের অমৃতা বিশ্ব বিদ্যাপীঠমের অধ্যাপক প্রবাহারন পি এবং আইআইটি বোম্বের ইনস্টিটিউট চেয়ার অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর অশ্বিন অনিল গুমাস্তে।