বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ইডি পদক্ষেপ নিয়ে দেশের বিরোধী মহলে উঠেছে ঝড়। দেশের বিরোধীদের কণ্ঠ দমিয়ে রাখার মরিয়া চেষ্টা করছে বিজেপি। এই অভিযোগ নিয়েই সরব হয়েছেন বিজেপি বিরোধী নেতারা। বারবার বিজেপির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে একটাই প্রশ্ন ইডির নজরে কেন শুধু রয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা। এই প্রশ্নের পরেই এবার রাজ্যে বিজেপিকে নিশানা করে পড়েছে পোস্টার।
জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির যুব শাখা মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে একটি বড় ব্যানার লাগিয়েছে। যেখানে জানতে চাওয়া হয়েছে বিজেপির কোনও নেতা এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলির দ্বারা বর্তমানে বিরোধী দলের নেতাদের উপর নেয়া পদক্ষেপের মত জেরার শিকার হয়েছে কিনা।
ওই ব্যানারেই জাতীয়তাবাদী যুব কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক অক্ষয় পাটিল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের কাছে জানতে চেয়েছেন সিবিআই, ইডি বা আয়কর বিভাগের মত কোনও এজেন্সি সেই সমস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাবে কিনা যারা দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যদি কেউ এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে তবে অক্ষয় পাটিল সেই ব্যক্তিকে নগদ ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেবেন বলেও জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২২ জুলাই বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যয়কে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় এবং গত রবিবার রাতে ইডি মুম্বইয়ের শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে মুম্বইয়ের পাত্র চাউল জমি কেলেঙ্কারির দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করার পরেই এই ব্যানার সামনে এসেছে।
বিরোধীরা বারবার বিজেপি-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের ভয় দেখানোর জন্য এবং তাঁদের সমালোচকদের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে। জানিয়ে রাখা ভাল, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী সহ শীর্ষ বিরোধী নেতারা যেমন পি চিদাম্বরম এবং তাঁর ছেলে তথা সাংসদ কার্তি, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির স্বাস্থ্য মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন সকলেই অর্থ পাচারের অভিযোগে ইডির নজরে রয়েছে। এই সকল নেতারা সকলেই বিজেপি বিরোধী দলে কেউ বিজেপির নেই।