বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত বিরোধীরা। মধ্যবিত্তের চিঁড়ে-মুড়ির ওপর জিএসটি চাপানো থেকে শুরু করে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সরব হতে দেখা গিয়েছে তাদের। যার কারণে ২৭ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ডও করা হয়। এমন অচলাবস্থার মধ্যেই ২৪টি বিল পাশ করার চেষ্টা চালিয়েছিল মোদী সরকার। কিন্তু বিরোধীদের লাগাতার আন্দোলনে কোণঠাসা তারা। শুধু তাই নয়। মনে করা হচ্ছে, আরও উত্তাল হতে চলেছে চলতি অধিবেশন। ইতিমধ্যেই মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, গুজরাতে মহিলা ধর্ষণ, শিবসেনার সঞ্জয় রাউতের ইডি হেফাজত, ঝাড়খণ্ডে ঘোড়া কেনা বেচা, ইত্যাদি ঘটনায় উত্তাল হতে পারে সংসদ। তৃণমূলের পক্ষ থেকে, তাদের দলের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, মৌসম বেনজির নুর এবং দোলা সেন সংসদের উভয় কক্ষেই নোটিশ দিয়েছেন। তৃণমূল সাংসদদের দাবি, অন্য সব কাজ আপাতত স্থগিত রেখে; মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে হবে। অন্যদিকে, মোদী সরকারের মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। সোনিয়া গান্ধী ইস্যু তো ছিলই, সেই সঙ্গে জুড়েছে আরও এক ইস্যু। মাননীয় রাষ্ট্রপতিকে অসম্মান করার অভিযোগ উঠছে স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে। স্মৃতি ইরানীকে জিরো আওয়ারে বলতে কেন আটকানো হল না, অন্যদিকে বিরোধীদের বলতেই দেওয়া হয় না, সেই বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধেও সরব তারা।