মধ্যবিত্তের সংসারে হু হু করে দাম বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের। এবং তাতে দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে আম জনতার। প্যাকেটজাত খাবার যেমন আটা ময়দা ঘি মাখন বিশেষত মুড়ির উপরে জিএসটি বসানোর প্রতিবাদে বাদল অধিবেশনের উভয়কক্ষ থেকেই সাংসদদের সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। এবার তাঁদের নজিরবিহীন প্রতিবাদ দেখা গেল সংসদ ভবনে। বৃহস্পতিবার রাতে সংসদ ভবনের মূল গেটের সামনে মশারি টাঙিয়ে ঘুমোলেন পঞ্চাশ ঘন্টা রিলে ধরনা দেওয়া বিরোধী সাংসদরা। তৃণমূলের সুস্মিতা দেব, মৌসুম নূর, আবির রঞ্জন বিশ্বাস, আম আদমি পার্টির পার্টির সঞ্জয় সিং ছিলেন ধরনা স্থলে। প্রসঙ্গত, বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করা, মূল্যবৃদ্ধি, জিএসটি নিয়ে আলোচনা করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার পঞ্চাশ ঘন্টা রিলে ধরনার কর্মসূচি নিয়েছে বিরোধীরা। ধর্নায় অংশ নেওয়া সাংসদদের মিলছে প্রাতঃরাশে কোনওদিন ইডলি, সম্বর, মধ্যাহ্নভোজে মুরগির মাংস, তন্দুরি বা রুমালি রুটি। সন্ধ্যায় চা পান। এভাবেই সংসদ ভবন চত্ত্বরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় সামিল হয়েছেন তৃণমূল-সহ বিরোধী দলের সাংসদরা। তিনদিনে ২৭জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে রিলে অবস্থান বিক্ষোভ সামিল হয়েছেন বিরোধী সাংসদরা। শুক্রবার তাঁদের সাসপেনশন না ওঠা পর্যন্ত চলবে ধরনা। সময়ে সময়ে স্লোগান, আবার খাওয়া দাওয়া আলাপচারিতা সবই অক্ষুন্ন রেখে প্রতিবাদ চলছে।
কোন দিন, কোন সময়ে কোন দলের কোন সাংসদ থাকবেন, তা স্থির করতে একটি রোস্টার করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী সাংসদরা হাজিরা দিচ্ছেন। কোনো দল প্রাতঃরাশ, কোনো দল মধ্যাহ্নভোজ আবার কোনও দল নৈশভোজের ব্যবস্থা করছে। যেমন গতকাল মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করে তৃণমূল। সোমবার কংগ্রেসের চারজন সাংসদকে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়। তারপর গতকাল তৃণমূলের সাতজন সহ মোট ১৯ জনকে এবং আজ আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিংকে সাসপেন্ড করা হয়। গতকাল মেঘালয় নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল। মেঘালয় নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীনই তৃণমূলের ৭ জনসহ মোট ১৯ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার খবর আসে। রাজ্যসভায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়ে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সাসপেন্ড হন সাত জন তৃণমূল সাংসদ৷ যে তৃণমূল সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছেন সুস্মিতা দেব, শান্তা ছেত্রী, শান্তনু সেন, দোলা সেন, নাদিমুল হক, মৌসম নূর এবং আবির রঞ্জন বিশ্বাস৷ এ দিন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবি তুলে রাজ্য সভায় সরব হন তৃণমূল সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দলের সাংসদরা৷
