ফের বিপাকে বিজেপি। দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব, সাংগঠনিক দুর্বলতা ইত্যাদি তো আছেই। তদুপরি দলের নেতাদের কুকীর্তি মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে পদ্মশিবিরের। এবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল নদিয়ার কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভার বিজেপির প্রাক্তন সহ-সভাপতি অভয় চৌধুরীর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এক বিবাহবিচ্ছিন্না মহিলা কৃষ্ণনগর বেজিখালি এলাকায় ঘরভাড়া নিয়ে থাকেন। তাঁর বছর দশকের একটি পুত্রসন্তান আছে। ওই বাড়িতে যাতায়াত ছিল বিজেপি নেতা অভয়ের। স্থানীয়দের দাবি, মাঝেমধ্যেই অভয় এবং ওই মহিলার বিবাদ বাধত। এই নিয়ে আগের বাড়িওয়ালা অভিযোগ করেছিলেন। এ জন্য মালিপাড়ার ভাড়াবাড়ি ছাড়তে হয়েছিল মহিলাকে। বেজিখালিতে এসেও পরিবর্তন হয়নি তার। এখন পুলিশের কাছে নির্যাতিতা দাবি করেছেন, ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তাঁকে লাগাতার ধর্ষণ করেছেন অভয়। প্রথম দিকে অনিচ্ছার কথা প্রকাশ করলেও পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে তিনি তা মেনে নেন বলে জানিয়েছেন।
পাশাপাশি অভিযোগকারিণীর দাবি, অভয়কে বিয়ে করতে চাইলে তিনি পিছিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর এও অভিযোগ, অভয়ের পরিবারকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে তাঁর সন্তানের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। যদিও অভিযুক্ত বিজেপি নেতা এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘‘চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আইনি পথে এর মোকাবিলা হবে। সত্য এক দিন প্রকাশ পাবেই।’’ স্বাভাবিকভাবেই পক্ষের অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে সরগরম জেলার রাজনৈতিক আবহ। মহিলার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাঁর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। এ নিয়ে নদিয়া বিজেপির উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাসের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে। দল কোনও অপরাধীকে আড়াল করবে না। তদন্তে অভিযুক্তের দোষ প্রমাণ হলে আইনি ব্যবস্থা হোক। তখন দলও পদক্ষেপ করবে।’’ অন্যদিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁ। ‘‘বিজেপি নেতাদের প্রকৃত চরিত্র হল, তাঁদের কোনও চরিত্র নেই’’, বলেন কল্লোলবাবু।
