ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে মোদীরাজ্য। প্রাণ কেড়েই চলেছে বিষমদ। গুজরাতে বিষমদে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩০। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও বেশ কয়েক জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। রবিবার থেকে গুজরাতের বোটাদ জেলার বরভলার কয়েকটি গ্রামে বিষমদ খেয়ে ধারাবাহিক ভাবে মৃত্যু ও অসুস্থ হওয়ার ঘটনা সামনে আসে। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর পুলিশও নিশ্চিত হয় মদে বিষক্রিয়ার কারণেই এই মৃত্যু। মৃতদের পাকস্থলীতে বিষাক্ত মিথাইল অ্যালকোহলের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে বলে জানানো হয় রিপোর্টে। এই ঘটনায় বুধবার পর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মঙ্গলবার ডিজিপি আশিস ভাটিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিষমদ খেয়ে মৃতদের মধ্যে বোটাড জেলার বাসিন্দাই বেশি। মৃতদের মধ্যে পাশের আমদাবাদ জেলার বাসিন্দারাও রয়েছেন। সেখানকার ছ’জন বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবারই অবশ্য পুলিশকর্তারা আশঙ্কা করেছিলেন যে বিষমদ-কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখন ভাবনগর এবং বোটাদ জেলার বেশ কয়েক জন বাসিন্দার শারীরিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় আট জনকে আটক করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, বহু বছর ধরে গুজরাতে মদ্যপান এবং মদ বিক্রি, দুই-ই নিষিদ্ধ। তার পরেও বিষমদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে তুমুল শোরগোল। গুজরাতে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের অভিযোগ, শাসক দল বিজেপির প্রশ্রয়েই চোলাই মদের রমরমা বাড়ছে গুজরাতে। একই অভিযোগ করেছে আম আদমি পার্টিও। ‘ডবল-ইঞ্জিন’ রাজ্যে এহেন ঘটনার কারণে স্বাভাবিকভাবেই নিন্দার মুখে মোদী সরকার।