বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির দক্ষতা। ইতিমধ্যেই তাদের তদন্ত ঘিরে উত্তাল দেশ তথা রাজ্যের রাজনীতি। বরাবরই অভিযোগ, ইডিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পূরণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে মোদী সরকার। অন্যদিকে, অ-বিজেপি রাজ্যগুলিতে নানান কেলেঙ্কারির তদন্তভার ইডির হাতে দিয়ে দেওয়া হয়। প্রশ্ন উঠেছে, এত ভরসা করে যে ইডিকে অজস্র মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়, সেই ইডি কতটা যোগ্য? গত ২৫শে জুলাই এমনই এক প্রশ্ন তোলা হয়েছিল লোকসভায়। প্রশ্নের উত্তরে জানানো হয়েছে, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে বিগত ১৭ বছরের ইডির তরফে ৫,৪২২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন মোটে ২৩ জন। মোদী সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ আর্থিক বছরে আর্থিক তছরুপ আইনে ৯৮১টি মামলা দায়ের হয়েছিল। একই অভিযোগে ২০২১-২২ অর্থবর্ষ ১,১৮০ মামলা দায়ের করে ইডি।
উল্লেখ্য, দেশের অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরীর তুলে ধরা তথ্য-পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিগত ১০ বছরের মধ্যে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ৩১শে মার্চ অবধি আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের অধীনে ইডি মোট ৫,৪২২টি মামলা করেছে। সব মিলিয়ে মোট ১,০৪,৭০২ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু ফলাফল খুবই হতাশাজনক। ৯৯২টি মামলায় ২৩ জন অভিযুক্তের থেকে ৮৬৯.৩১ কোটি টাকা উদ্ধার করতে পেরেছে ইডি। এই তথ্য-পরিসংখ্যান ইডির যোগ্যতাকে বিরাট সংশয়ের সামনে দাঁড় করিয়েছে। সমালোচনায় সরব হয়েছে একাধিক মহল।