সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে। বাদল অধিবেশনের শুরুর দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাংসদদের খোলা মনে বক্তব্য রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু বাদল অধিবেশন শুরু হতেই বিভিন্ন বিষয়ে উত্তপ্ত হয়েছে সংসদ। মুলতুবিও ঘোষণা হয়েছে বেশ কয়েকবার। এবার মঙ্গলবার সংসদের অধিবেশনের সপ্তম দিনের আগে সংসদ চত্বরে মিলিত হলেন কংগ্রেসের সাংসদরা। এদিকে অধিবেশনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদেরও প্ল্য়াকার্ড হাতে সংসদ চত্বরে দেখা গিয়েছে।
এদিন সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই সংসদের কাছে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরা। তাঁদের দাবি, সংবিধানের অষ্টম শিডিউলের মধ্যে গারো ও খাসিদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছেন, ‘সংবিধানের অষ্টম শিডিউলে গারো ও খাসিদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আমরা দাবি জানাচ্ছি। সংসদের জিরো আওয়ারে আমরা এই বিষয়টি উত্থাপন করব।’ এদিকে মঙ্গলবার লোকসভার অধিবেশন শুরুতেই কার্গিল যুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। তবে বিরোধী সাংসদরা স্লোগান তুলতেই থাকে। দামবৃদ্ধি নিয়ে তাঁরা সরব হয়েছেন। এদিকে বিশৃঙ্খলার মধ্যেই ১১.৪৫ অবধি নিম্নকক্ষের অধিবেশনের মুলতুবি ঘোষণা করেন স্পিকার ওম বিড়লা।
মুলতুবি ঘোষণার আগে স্পিকার বিরোধী সাংসদদের সতর্ক করেন। তিনি বিরোধীদের কক্ষে স্লোগান দিতে বা প্ল্যাকার্ড দেখাতে নিষেধ করেন। বিরোধীদের নিজেদের বসার জায়গায় ফিরে যাওয়ার আবেদন জানিয়ে বলেছেন, ‘এটা আপনাদের কক্ষ। এখানে আপনারা আলোচনা করতে পারেন। অন্য সাংসদদের সঙ্গে সহমত হতে পারেন বা নাও হতে পারেন। আমি কোনও সাংসদের বিরুদ্ধেই কোনও পদক্ষেপ করতে চাই না। কিন্তু মনে রাখবেন প্ল্যাকার্ড দেখানোর জায়গা এই কক্ষ নয়। জনসাধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জায়গা এটি। দেশের জনগণ আপনাদের ব্য়ানার ও প্ল্য়াকার্ড হাতে সংসদে দেখতে চান না।’
Read: ঝাড়খণ্ডে বড় ভাঙনের মুখে বিজেপি – পদ্মশিবিরের ১৬ বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে
Tweet: ঝাড়খণ্ডে বড় ভাঙনের মুখে বিজেপি – পদ্মশিবিরের ১৬ বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে
Parliament