জিএসটি কাউন্সিল প্রস্তাব করেছিল, সেই মতো গতকাল থেকে প্যাকেটবন্দি লেবেল সাঁটা চাল, ডাল, আটা, মুড়ি, দই, লস্যির মতো খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। যেহেতু এই পণ্যগুলিকেও এবার জিএসটির আওতায় আনা হয়েছে। বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে এভাবে লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের মতো ইস্যুতে প্রতিবাদে সরব হল বিরোধীরা, উত্তাল হল সংসদের দুই কক্ষ। মুলতুবি প্রস্তাব আনলেন কংগ্রেস সংসদ গৌরব গগৈ। অন্যদিকে মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় আন্দোলনে নামল কংগ্রেস।
একদিকে যখন ডলার প্রতি টাকার দাম ৭৯ টাকায় পৌঁছেছে, অন্যদিকে তখন ৫ শতাংশ জিএসটি বসেছে প্যাকেটবন্দি লেবেল সাঁটা খাদ্যেপণ্যে। এর মধ্যে রয়েছে রোজকার হেঁসেলের চাল, ডাল, আটা, মুড়ি, দই, লস্যি, পনির, গুড়, মধু, বাটার মিল্ক। অন্যদিকে হাসপাতালের খরচও বেড়েছে। আইসিইউ ছাড়া ৫ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের কেবিনেও এবার থেকে দিতে হবে ৫ শতাংশ জিএসটি। এতদিন জিএসটির বাইর থাকা দিনে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়ার হোটেলের ঘরেও চাপানো হয়েছে ১২ শতাংশ কর। সাধারণ মানুষের প্রয়োজনের এমন বহু পণ্যের উপর জিএসটি কাউন্সিলের প্রস্তাবে কর বাড়ানো হয়েছে।
এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার সংসদের দুই কক্ষে সরকারি বিরোধী স্লোগান দেয় বিরোধীরা। মুলতুবি প্রস্তাব আনেন কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ। গৌরব উল্লেখ করেন, খাদ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে সরাসরি সাধারণ মানুষের রোজকার জীবন ধারনের উপর আঘাত এনেছে কেন্দ্র। অধিকাংশ জরুরি জিনিসের দাম বাড়ানো হয়েছে। কোভিডের কারণে একেই বিপর্যস্ত ছিল গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্তের আর্থিক পরিস্থিতি। এবার সেই অবস্থা আরও খারাপ হবে। এদিকে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের মতো ইস্যুতে তীব্র অশান্তি শুরু হলে দুপুর ২টো অবধি অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় অংশ নেন কংগ্রেস সাংসদরা।