বিগত দু’বছর করোনা মহামারীর জেরে ভার্চুয়ালি শহিদ দিবস পালন করেছিল তৃণমূল। ফলে ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের বিপুল জনসমাগম দেখা যায়নি। কিন্তু চলতি বছরে সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত আয়ত্তে থাকায়, বিশাল জনসমাগমের সঙ্গে শহিদ দিবস পালনের পরিকল্পনা করেছে ঘাসফুল শিবির। শুধু তাই নয়। এই সমাবেশকে ‘তাক লাগানো’ স্তরে তুলতে চাইছে তারা৷ এই সমাবেশ যে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝিয়ে দিতে চাইছে। তাই গত বারের মতো এবারেও বাংলার বাইরে একাধিক জায়গায় পালন করা হবে শহিদ সমাবেশ৷ সেই উপলক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, দল ইতিমধ্যেই বড় হয়েছে৷ একাধিক রাজ্যে বিস্তৃতি লাভ করেছে৷ তৃণমূল কংগ্রেস এখন সর্বভারতীয় দল৷ একাধিক রাজ্যের পুরসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছেন ঘাসফুলের প্রার্থীরা৷ আগামী বছরেও বেশ কয়েকটি রাজ্যে প্রার্থী দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। এই সব কারণেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ বছর ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ পৌঁছে দেওয়া হবে দেশের সর্বত্র৷ যে সব রাজ্যে দলীর কার্যালয় চালু করা হয়েছে, সেখানে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হবে শহিদ দিবস৷ জায়ান্ট স্ক্রিনে দলনেত্রীর বক্তৃতা দেখানোর পাশাপাশি পালিত হবে বিভিন্ন স্থানীয় সামাজিক কর্মসূচিও৷ একাধিক রাজ্য নেতৃত্বকে তৃণমূলের শীর্ষ স্তর ইতিমধ্যেই এই নির্দেশ দিয়েছে৷ তাই বাংলা ছাড়াও বাইরের একাধিক রাজ্যে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, দলীয় স্তরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দেশের যে সব রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় রয়েছে, সেখানে জায়ান্ট স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একুশে জুলাইয়ের বক্তৃতা৷ ত্রিপুরায় তৃণমূলের স্টেট ইনচার্জ রাজীব বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আগামী বছর ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন৷ একুশের মঞ্চ থেকে দলনেত্রী ত্রিপুরার জন্য কী বার্তা দেন, তা শুনতে এখানকার মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন’৷ অন্যদিকে আসাম তৃণমূলের সভাপতি রিপুন বোরা জানিয়েছেন, ‘রাজ্যের বিজেপি সরকার আসামের মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে৷ এই রাজ্য থেকে বিজেপিকে হঠাতে একুশে জুলাই আমরা সংঘবদ্ধভাবে শপথ নেব।’