এবার ক্লাউড-বার্স্ট তথা মেঘভাঙা বৃষ্টির প্রকোপে অমরনাথে আটকে পড়েছেন বাংলার ১২ জেলার প্রায় ১৩৯ জন পর্যটক। কাশ্মীর প্রশাসনের কাছে চিঠির মাধ্যমে আটকে পড়া পর্যটকদের তালিকা পাঠিয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। আটকে থাকা পর্যটকদের যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি ফেরানোর আর্জি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। বারুইপুরের পড়ুয়া বর্ষা মুহুরির মরদেহ এবং মৃতার পরিবারের ৬ জনকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে কাশ্মীর প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
উল্লেখ্য, সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় হাওড়া জেলার পর্যটকেরা আটকে পড়েছেন (৩৩ জন) বলেই জানিয়েছে সূত্র। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২৭জন), হুগলী (৩জন), কলকাতা(১০জন), পূর্ব মেদিনীপুর(৯জন), পশ্চিম বর্ধমান(৩জন), কোচবিহার(৭জন), উত্তর ২৪ পরগনা(১২জন), পশ্চিম মেদিনীপুর(১১জন), জলপাইগুড়ি(২২জন), বাঁকুড়া এবং বীরভূম ইত্যাদি জেলার পর্যটকেরা আটকে রয়েছেন। পরিবারের লোকেদের প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে আতঙ্কে। জানা যাচ্ছে, আজ সোমবার ১১ই জুলাই সকালে বারুইপুরে ফিরতে পারে বর্ষার দেহ। আরেক পর্যটক পুলিশ কর্মী প্রবীর কর্মকার নিজের স্ত্রী-সহ ৮০ জনের এক বিশাল দল নিয়ে অমরনাথ গিয়ে আটকে পড়েছেন। বারুইপুর ও কলকাতার বিপুল সংখ্যক পর্যটক আটকে রয়েছেন। প্রবীরবাবুরা প্রাণে রক্ষা পেলেও তাদের দু’টি দল আলাদা হয়ে যাওয়ায় তারা সমস্যায় পড়েছেন। এছাড়াও খাবার ও পানীয় জলের অভাব রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। স্বভাবতই বাড়ছে দুশ্চিন্তা।