নির্ঘন্ট সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকেছে উত্তরবঙ্গে। তারপর থেকে অনবরত ভেসে চলেছে পাহাড়। এবং মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে অমরনাথ যাত্রায় নামে ধস। সূত্রের খবর, বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ অমরনাথ গুহার কাছে মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হঠাৎ জলোচ্ছ্বাসের কারণে অমরনাথ গুহার নীচে থাকা পুণ্যার্থীদের তাঁবু এবং কমিউনিটি কিচেন জলের তোড়ে ভেসে যায়। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ধস নেমে বিপদজনক অবস্থা। অমরনাথ যাত্রায় তে নিখোঁজ বহু বাঙালি। সেই ভয়াবহ মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে সোমবার থেকে চালু হয়েছিল অমরনাথ যাত্রা। কিন্তু বাধ সাধল প্রকৃতি। আবারও বন্ধ হয়ে গেল এই তীর্থযাত্রা। খারাপ আবহাওয়ার কারণে স্থানীয় প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, পাঞ্জতার্নি বেস ক্যাম্প থেকে তীর্থযাত্রীদের দল আজ অমরনাথ গুহার উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারেননি। কারণ পাঞ্জতর্নি ও পবিত্র গুহার কাছে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। উল্লেখ্য, গত 8 জুলাই সন্ধ্যায়, অমরনাথ গুহার কাছে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই ঘটনায় ১৬ জন পূর্ণার্থীর মৃত্যু হয়, আহত হন শতাধিক।
এখনও ৪০ জন তীর্থযাত্রী নিখোঁজ, তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে। এখনও পর্যন্ত, ৮৪ জন তীর্থযাত্রী নিরাপদ বলে জানা গিয়েছে, কারণ তারা তাদের আত্মীয় এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। উদ্ধার অভিযানের সঙ্গে যুক্ত একজন সিনিয়র আধিকারিকের কথায়, “অন্ধ্রপ্রদেশের দুই মহিলার স্বামী শ্রীনগরে ফিরে এসেছেন। কিন্তু তাঁদের স্ত্রী-রা এখনও নিখোঁজ। তারা হয়তো আহত হয়েছে বা অন্য কোথাও পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁদের সন্ধানে আমরা তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছি।” অমরনাথ গুহায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে আকস্মিক এই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে যাবতীয় তথ্য নিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি ট্যুইট করে লেখেন, “এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, বিএসএফ এবং স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। মানুষের জীবন বাঁচানোই আমাদের অগ্রাধিকার।” শ্রী অমরনাথ শ্রাইন বোর্ড-এর পক্ষ থেকেও ইতিমধ্যেই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে সমস্ত ভক্তদের সংযম অনুশীলন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বোর্ডের তরফে বলা হয়েছে, যেখানেই যাত্রীরা আছেন, নিরাপদ জায়গায় তাঁরা যেন যাত্রা থামিয়ে দেন।