বিজেপির ইন্ধনে একনাথ শিণ্ডে-সহ একঝাঁক শিবসেনা বিধায়কের বিদ্রোহের জেরে কিছুদিন আগেই পতন ঘটেছে তাদের জোট সরকারের। হাতছাড়া হয়েছে মহারাষ্ট্রের গদি। এবার মহারাষ্ট্রের পার্শ্ববর্তী রাজ্য গোয়ার কংগ্রেস বিধায়কদের দলবদলের জল্পনা শুরু হতেই নড়েচড়ে বসল শীর্ষনেতৃত্ব। সংকট আসন্ন বুঝেই সরাসরি হস্তক্ষেপ করলেন দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। রবিবার প্রবীণ নেতা মুকুল ওয়াসনিককে দ্রুত গোয়া পৌঁছেই যাবতীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
দলেরই দুই নেতার বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ করে পরিষদীয় দলকে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। গোয়ার কংগ্রেস বিধায়ক মাইকেল লোবো এবং রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাত শতাব্দীপ্রাচীন দলকে ভেঙে বিজেপি হাত শক্ত করতে চাইছেন বলে মনে করছে রাজ্য কংগ্রেসের একটা বড় অংশ। অখিল ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল রবিবার রাতে টুইট করে বলেন, ‘কংগ্রেস সভানেত্রী দ্রুত মুকুল ওয়াসনিককে গোয়াতে গিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।’
ইতিমধ্যেই মাইকেল লোবোকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। গোয়া কংগ্রেসের ডেস্ক ইনচার্জ দীনেশ গুন্ডুরাও রবিবার সন্ধেয় লোবোকে বিরোধী দলনেতা পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। যদিও তারপরও গোয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশই কংগ্রেসের জন্য কঠিন হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় কংগ্রেসে ১১ জন বিধায়ক রয়েছেন। সূত্রের খবর, ১১ জন বিধায়কের মধ্যে ৮ জনকে ‘টার্গেট’ করেছে বিজেপি। বাকি তিন বিধায়ককে দলে টানার চেষ্টা করা হচ্ছে।