ধর্ষণ তখনই বলা যাবে যখন কারও ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে বা বলপূর্বক করা হয়েছে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলে তাকে আর ধর্ষণের আওতায় ফেলা যাবে না। এবার এমনই রায় দিল কেরালা হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন সম্পর্ক হয়েছে, কিন্তু পরে বিয়ে করতে না চাইলে তাতে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বহুবার। তবে এবার কেরালা হাইকোর্ট তার রায়ে জানিয়েছে, দু’জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে যৌন সম্পর্ক হলে, তাতে যদি দুজনেরই সম্মতি থাকে তাহলে তাকে ধর্ষণ বলা যাবে না। ধর্ষণের অভিযোগ তখনই দায়ের করা যাবে যদি বিনা সম্মতি, জোরজবরদস্তি যৌন সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করা হয়, বা যদি সেই যৌন সম্পর্কে প্রতারণা বা মিথ্যাচার থাকে। অর্থাৎ দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক সহবাস করলে তাকে ধর্ষণ বলা যাবে না।
উল্লেখ্য, এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর প্রেমিকা। অভিযোগ ছিল, বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে চার বছর সহবাস করেন ওই আইনজীবী। কিন্তু পরে তিনি বিয়ে করতে রাজি হননি। এরপরেই প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন ওই মহিলা। যার জেরে গত ২৩ জুন আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়। আগাম জামিনের আবেদন করে কেরালা হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন তিনি। সেই মামলার রায়েই এমন পর্যবেক্ষণ আদালতের।
বিচারপতি বেচু কুরিয়ান থমাসের বেঞ্চ এই তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছে। আদালত জানিয়েছে, দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক সঙ্গী তাঁদের ইচ্ছায় যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতেই পারেন। কিন্তু পরে একে কোনও ভাবে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণের মামলায় ফেলা যায় না। যদি বিয়েতে কেউ রাজি না হয় বা সম্পর্কের পরিণতি বিয়ে না হয় সেক্ষেত্রেও সেটাকে ধর্ষণ বলা চলে না।