নির্ঘন্ট সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকেছে উত্তরবঙ্গে। তারপর থেকে অনবরত ভেসে চলেছে পাহাড়। এবং মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে অমরনাথ যাত্রায় নামে ধস। সূত্রের খবর, বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ অমরনাথ গুহার কাছে মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হঠাৎ জলোচ্ছ্বাসের কারণে অমরনাথ গুহার নীচে থাকা পুণ্যার্থীদের তাঁবু এবং কমিউনিটি কিচেন জলের তোড়ে ভেসে যায়। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ধস নেমে বিপদজনক অবস্থা। অমরনাথ যাত্রায় তে নিখোঁজ বহু বাঙালি। মৃত্যু হল বারুইপুরের এক কলেজ পড়ুয়ার। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে যে বিপর্যয় নেমে এসেছে তাতে ইতিমধ্যে বহু পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বারুইপুরের বর্ষা মুহুরি। ভূগোলে এমএসসি পড়ছিলেন তিনি। জানা গেছে, কয়েকজনের টিম নিয়ে উত্তর ভারতে ঘুরতে গিয়েছিলেন বর্ষা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও ৬ জন।
গত ১ জুলাই কলকাতা থেকে রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। পহেলবাগে ছিলেন ২ দিন। সেখান থেকে অমরনাথে যান। ১৬ তারিখ কলকাতায় ফিরে আসার কথা ছিল সকলের। অমরনাথে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির বিপর্যয়ে কার্যত ভেসে গিয়েছে ২৫টি পূণ্যার্থী শিবির। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫। বাংলার অনেকেই অমরনাথে আটকে আছেন। অনেককে তো খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। নবান্ন থেকে শনিবার খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। টুইটে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিন বর্ষার মৃত্যু সংবাদ সামনে এলে শোকের ছায়া নামে বারুইপুরে। মা এবং মামার পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলেন বর্ষা। জানা যাচ্ছে তাঁর মাও গুরুতর আহত। তাঁকে অমরনাথ থেকে হেলিকপ্টারে করে উড়িয়ে আনা হয়েছে কলকাতায়।