মহারাষ্ট্রের মসনদ তাঁকে ছাড়তে হয়েছে কয়েকদিন আগেই। বিধায়কদের পর শিবসেনা সাংসদদের একটা বড় অংশেরও শিন্ডে শিবিরে যোগদানের সম্ভাবনা রয়েছে। স্বভাবতই চাপে উদ্ধব ঠাকরে। শিবসেনা নেতা অরবিন্দ সাওয়ান্ত জানিয়েছেন, লোকসভার মুখপাত্র বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই। মনে করা হচ্ছিল বিদ্রোহ থেকে শিক্ষা নিয়ে রণকৌশল বদল করতে পারে শিবসেনা। ইডির নজরে থাকা ভাবনা গাওলিকে নিয়েও উদ্বিগ্ন ছিল শিবসেনা। এনডিটিভির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রঞ্জন বিচারেকে নতুন মুখ্যসচেতক নিয়োগ করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ভাবনা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা বলছিলেন। এমনকী তিনি বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলেন। সেই কারণে আমাদের কাছে অন্য বিকল্প থাকা প্রয়োজন ছিল।” সেনা সাংসদের শিন্ডে শিবিরে যোগদান প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি। “আপনার জানেন একনাথ শিন্ডের ছেলে একজন সাংসদ। সে নিজের বাবার সঙ্গে থাকবেন না কি উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে থাকবেন? উদ্ধব ঠাকরে নির্দিষ্ট কিছু লোককে চেনেন, আমরাও চিনি। আমরা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছি”, জানান রঞ্জন।
অন্যদিকে এনডিটিভিকে অরবিন্দ সাওয়ান্ত বলেন, “যে দিন উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী বাসভবন বর্ষা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, সেই সময় গোটা মহারাষ্ট্রের চোখে জল এসেছিল। সাধারণ মানুষের উদ্ধব জি, বালাসাহেব ঠাকরে এবং শিবসেনাকে বিশ্বাস করে। তাদের অন্য কোনও কিছুর ওপর বিশ্বাস নেই।” শিবসেনার পরিষদীয় দল ভেঙে গেলেও দল এখন অটুট, এমনই দাবি করেছেন সাওয়ান্ত। তবে তিনি তথা উদ্ধব শিবির মুখে যা দাবি করুন না কেন, অস্বস্তি ক্রমেই বাড়ছে। বৃহৎ মুম্বই পুরসভার পর থানে পুরসভার ৬৬ জন কাউন্সিলর শিন্ডেকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। ফলে এই পুরসভাগুলি হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এনডিটিভির সঙ্গে সাক্ষাতকারে সাওয়ান্ত শিন্ডে শিবির এবং বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তাঁর মতে, বিজেপি ও শিন্ডেরা মিলে গণতন্ত্রকে পরিহাসে পরিণত করেছেন। “দয়া করে আইন ভালভাবে পড়ে দেখুন, সংবিধান সংকটের মধ্যে রয়েছে। ওরা সব রকমভাবে সাংবিধানিক নিয়ম ভেঙেছেন”, বিজেপি ও শিন্ডেকে একহাত নিয়ে জানান সাওয়ান্ত।