ব্যাটে-বলে ময়দান কাঁপালেন হার্দিক। ব্যাট হাতে অর্ধশতরান, বল হাতে চারটি উইকেট,হার্দিকের দাপটেই শেষ ইংল্যান্ড। জস বাটলারদের হারিয়ে সিরিজে ১-০ এগিয়ে রোহিত শর্মারা। টি-টোয়েন্টিতে ভারতের তুখোড় দাপট। জস বাটলারের ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিলেন হার্দিক পাণ্ড্যরা। করোনা সারিয়ে এই ম্যাচে দলে ফিরেছিলেন রোহিত শর্মা। তিনি ব্যাট হাতে খুব বেশি রান করতে না পারলেও দল শুরু করল জয় দিয়েই। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫০ রানে জয় ভারতের। ব্যাটে-বলে ম্যাচটা নিজের নামে করে রাখলেন হার্দিক। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত। শুরুটা ভালই করেছিলেন তিনি। কিন্তু ১৪ বলে ২৪ রান করেই ফিরে যান রোহিত। মাত্র ৮ রান করে আউট হন ঈশান কিশানও। কিন্তু তাঁরা ফিরলেও ভারতের রানের গতি কমেনি।
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান করা হুডা, ছন্দে থাকার ইঙ্গিত দিলেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও। মাত্র ১৭ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। তিনটি চার এবং দু’টি ছক্কা মারেন হুডা। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন সূর্যকুমার যাদব। ১৯ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। ভারতের রান দুশোর কাছে নিয়ে যাওয়ার মূল কাণ্ডারি অবশ্যই হার্দিক। আইপিএল থেকে যে ছন্দে রয়েছেন তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের মূল শক্তি হতে পারেন এই অলরাউন্ডার। বৃহস্পতিবার ৩৩ বলে ৫১ রান করেন হার্দিক। ছ’টি চার এবং একটি ছয় মারেন তিনি। হার্দিক ফিরতেই পর পর উইকেট হারায় ভারত। ১৯৮ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস।
ইংল্যান্ড দলে রয়েছেন জস বাটলার, লিয়াম লিভিংস্টোনের মতো বিধ্বংসী ক্রিকেটাররা। তাঁদের ব্যাট চলতে শুরু করলে যে কোনও লক্ষ্যই কম মনে হতে পারে। ভারতীয় দলও সেটা জানত। কিন্তু প্রথম ওভারেই বাটলারকে ফিরিয়ে দেন ভুবনেশ্বর কুমার। অধিনায়ক হিসাবে শুরুটা ভাল হল না ইংরেজ উইকেটরক্ষকের। এর পরেই শুরু হয় বোলার হার্দিকের ম্যাজিক। একের পর এক উইকেট নিতে শুরু করেন তিনি। প্রথম স্পেলে দু’ওভার বল করে হার্দিক ফিরিয়ে দেন দাউইদ মালান, লিয়াম লিভিংস্টোন এবং জেসন রয়কে। দ্বিতীয় স্পেলে এক ওভার বল করে নিলেন স্যাম কারেনের উইকেট। চার ওভারে ৩৩ রান দিয়ে চার উইকেট নেন হার্দিক। চহাল চার ওভার বল করে ৩২ রান দিয়ে নেন দু’উইকেট। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে দুই উইকেট নেন অর্শদীপও। ভুবনেশ্বর এবং হর্ষল পটেল নেন একটি করে উইকেট।