সপ্তাহ দুয়েক আগে জাকিয়া জাফরি মামলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেদিনের রায়ের পাশাপাশি পর্যবেক্ষণ নিয়ে এবার খোলা চিঠি লিখলেন ৯২ জন প্রাক্তন আমলা। কনস্টিটিউশনাল কনডাক্ট গ্রুপ নামে প্রাক্তন আমলাদের সংগঠনের তরফে খোলা চিঠি তথা বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টকে অবিলম্বে এই রায় এবং পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন প্রাক্তন আমলারা।
এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ভারতের প্রাক্তন হাইকমিশনার দেব মুখোপাধ্যায়, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্য সচিব অর্ধেন্দু সেন, প্রাক্তন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব কল্যাণী চৌধুরী, অর্থমন্ত্রকের প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা নীতিন দেশাই, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর রবি বীরা গুপ্তা, অর্থমন্ত্রকের প্রাক্তন সচিব সুনীল মিত্র, ব্রিটেনে ভারতের প্রাক্তন হাইকমিশনার শিবশঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের মতো আমলারা।
কনস্টিটিউশনাল কনডাক্ট গ্রুপের খোলা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘প্রতিদিনের নীরবতা আদালতের মর্যাদা আরও ক্ষুন্ন করছে এবং সংবিধানে উল্লেখিত নীতি অক্ষুন্ন রাখার প্রয়াস নিয়ে প্রশ্ন উঠছে’। প্রাক্তন আমলা উল্লেখ করেছেন, ‘সবচেয়ে আশ্চর্যের পর্যবেক্ষণ, সরকারকে সমর্থন করা বিশেষ তদন্তকারী দলের আধিকারিকদের প্রশংসা করা হয়েছে এবং সিটের তদন্তের সমালোচনা করায় সেই ব্যক্তির সমালোচনা করা হয়েছে’।
আরও বলা হয়েছে, এতটাই দম্ভ এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করা উচিত নয়, যাতে বিচারপ্রার্থীকে জেলবন্দি হয়ে থাকতে হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জাকিয়া জাফরি মামলার রায়দান এবং পর্যবেক্ষণের পরেই গ্রেফতার হন সমাজকর্মী, সাংবাদিক তিস্তা শেতলাবাদ। এছাড়াও আরও দুই প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়।
গুজরাত হিংসা চলাকালীন গুলবার্গ সোসাইটির গণহত্যার ঘটনায় নিহত ৬৮ জনের মধ্যে ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরি৷ তাঁর স্ত্রী জাকিয়া জাফরিই মোদীকে সিট-এর দেওয়া ক্লিনচিটের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন৷ সেই মামলাই খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ গোধরায় ট্রেনের কামরায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ৫৯ জনের মৃত্যুর পরের দিনই গুলবার্গ সোসাইটির এই ঘটনা ঘটে৷