মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে এক নাটকীয় পট পরিবর্তন হয়েছে। ভেঙে পড়েছে মহা বিকাশ আগাড়ি জোট সরকার। তৈরি হয়েছে ফডনবিসদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নতুন জোট সরকার গঠন করেছে শিন্ডে শিবির। শিবসেনা এখন আড়াআড়ি বিভক্ত। একদিকে শিন্ডে শিবির। অন্যদিকে উদ্ধব শিবির। এবার আরও এক নতুন মোড় মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। একনাথ শিন্ডেকে নতুন সরকার গড়ার জন্য ডাকার যে সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং নিয়েছেন, সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ উদ্ধব শিবির। শুধু তাই নয়,গত সোমবার মহারাষ্ট্রের বিধানসভার কার্যক্রমকেও চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনে।
উল্লেখ্য, সোমবার বিধানসভায় ফ্লোর টেস্টের মধ্য দিয়ে মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর পালে হাওয়া দেওয়া হয়েছিল। সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের যুক্তি, যে ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়ক যাদের বিরুদ্ধে বিধায়ক পদ খারিজের মামলা চলছিল, তাঁরা বিধানসভার কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার কথা ছিল না। উল্লেখ্য, উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর ৩০ জুন বিদ্রোহী শিবনেতা নেতা একনাথ শিন্ডে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এবং বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীস তাঁর ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শপথ নেওয়ার চার দিন পরে, শিন্ডে শিবির মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনের বিধানসভায় ১৬৪ টি ভোট পেয়েছিল। বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার জন্য প্রয়োজন ১৪৪ জন বিধায়কের সমর্থন। অন্যদিকে শিন্ডে শিবিরের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন মাত্র ৯৯ জন বিধায়ক।
বৃহস্পতিবার পর্যন্তও শোনা যাচ্ছিল, উদ্ধব ঠাকরকে নিয়েই চলার চিন্তা ভাবনা করছিল শিন্ডে-শিবিরের বিধায়করা। শিন্ডে-শিবির এবং উদ্ধব-শিবির যাতে আবার মিলে যায়, তার জন্য উদ্ধব ঠাকরে যাতে বিজেপির সঙ্গে কথা বলেন, এমন কথাও বলছিলেন বিদ্রোহী শিবসেনার কেউ কেউ। আর এরই মধ্যে ফের নতুন মোড়। একনাথ শিন্ডের সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল উদ্ধব ঠাকরে শিবির।