এবার শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অধ্যাপক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হল তৃণমূল। কাঁথি দেশপ্রাণ কলেজে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা৷ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কলেজ চত্বরে৷
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি, ২০১৬ সালে কাঁথি দেশপ্রাণ কলেজের অতিথি অধ্যাপক নিয়োগ হয়েছিল৷ তৎকালীন সময়ে ওই কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী৷ কলেজের অতিথি অধ্যাপক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেয় অধ্যক্ষ সুবিকাশ জানা। সেই পরীক্ষা দিতে আসেন অনেক চাকরি প্রার্থীরা৷ কিন্তু কাঁথি দেশপ্রাণ কলেজের অধ্যক্ষ সুবিকাশ জানা সবাইকে বাতিল করে দেন৷ তৎকালীন কাঁথির তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বাবা শিশির অধিকারী আত্মসহায়ক মলয় দাসের স্ত্রী নমিতা দাসকে নিযুক্ত করেন।
সেই নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। কলেজের অধ্যক্ষ সমস্ত ফাইল পত্র দেখাতে অস্বীকার করেন অধ্যক্ষ৷ এমনই অভিযোগ ছাত্র পরিষদের সদস্যদের৷ এই অভিযোগে মঙ্গলবার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য কমিটির সদস্য আবেদ আলী খান, টিএমসিপি ইউনিট সভাপতি নিমাই দাস, জেলা ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি তারাশঙ্কর পণ্ডা সহ নেতৃত্বরা। প্রসঙ্গত, সেই সময় কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি পদ থেকে দিব্যেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে সভাপতি পদে নিযুক্ত করেন প্রাক্তন সমবায় মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর। জ্যোতির্ময় করের কাছে প্রকৃত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা।