আস্থা ভোটেও নিজেদের শক্তি প্রমাণ করে উদ্ধব শিবিরকে আরও চাপে ফেলেছে একনাথ শিন্ডে। তবে উদ্ধব ঠাকরের এই দুঃসময়ে তাঁর পাশে আরও একবার দাঁড়াতে দেখা গেল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোধ্যায়কে। আস্থা ভোটে বিজয়ের পরেও বিজেপি ও শিন্ডের জোটকে কটাক্ষ করেছেন মমতা। সেই সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন আগামীতে এই এই জোটের পরিণতি কি হতে চলছে।
মুখ্যমন্ত্রী সোমবার এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার ও উদ্ধবের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, মহারাষ্ট্রেরর বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিসের নেতৃত্বে নতুন মহারাষ্ট্র সরকারের শীঘ্রই পতন হবে। মমতা বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস এই সরকার চলবে না। এটি একটি অনৈতিক অগণতান্ত্রিক সরকার। তারা হয়তো সরকার জিতেছে, কিন্তু তারা মহারাষ্ট্রের মন জয় করতে পারেনি’। উদ্ধবের হাত থেকে মহারাষ্ট্রেরর ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে বিজেপি ও একনাথকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘আপনারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে গণতন্ত্রকে বুলডোজ করতে পারেন, কিন্তু এদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক উপায়ে আপনাকে বুলডোজ করবে’।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও অভিযোগ করেছেন, মহারাষ্ট্রের শিবসেনা বিদ্রোহী বিধায়কদের ‘আসামের বিজেপি দ্বারা অর্থ এবং অন্যান্য জিনিস সরবরাহ করা হয়েছিল’। অন্যদিকে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে রাজনীতিবিদ হওয়া নিয়ে বিজেপির খোঁচা দেওয়ারও জবাব দিয়েছেন মমতা। বিজেপির আক্রমণ প্রসঙ্গে তিনি বলেছনে, ‘এতে ক্ষতি কী? জনগণ তাকে দু’বার নির্বাচিত করেছে’। তারপরেই বিজেপির শীর্ষ নেতাদের কাছে বড় প্রশ্ন রেখে জানতে চেয়েছেন, ‘আপনারা কি চান না যে তরুণ প্রজন্ম দেশের শাসনভার গ্রহণ করুক’? কেবল মহারাষ্ট্র ইস্যু নিয়েই নিয়েই নয় আগামী লোকসভা নির্বাচন নিয়েও বিজেপিকে একহাতে নিয়েছেন মমতা। বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে জনগণ প্রতিবাদে ভোট দেবে। মানুষ কোনো দল নির্বাচন করতে নয়, বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করতে ভোট দেবে’।