মহারাষ্ট্রের মহানাটক শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যেই একনাথ শিন্ডে এবং দেবেন্দ্র ফডনবিশ মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। বিজেপি-শিবসেনা (বিদ্রোহী) জোটের প্রার্থী রাহুল নারভেকর স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু দুই শিবসেনা পক্ষের বিবৃতির লড়াইয়ে গতকাল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মহারাষ্ট্র বিধানসভা৷
রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের আগে যে ভাবে বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল এবং রবিবার বিধানসভার স্পিকার নির্বাচনের ঠিক আগে যে ভাবে কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মাধ্যমে তাঁদের বিধানসভা কক্ষে নিয়ে আসা হয়েছে, সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করে রবিবার মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে তীব্র ভাবে নিশানা করেছেন ক্ষমতাচ্যুত শিবসেনা শিবিরের নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্যর অভিযোগ, ‘২৬-১১ মুম্বই হামলার সঙ্গে জড়িত কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী আজমল কাসভকে মুম্বইতে গ্রেফতার করার পরেও এত জন নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে ঘিরে রাখা হয়নি, যা দেখা যাচ্ছে আপনাদের বিধায়কদের ক্ষেত্রে৷ এত কীসের ভয় আপনাদের? ছিনিয়ে নেওয়া, শিবির পাল্টানো বিধায়করা পালিয়ে যাবেন বুঝি?’
আদিত্যর কথার সূত্র ধরেই মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশকে লক্ষ্য করে সরব হন বিরোধী শিবিরের বিধায়করা৷ বিরোধী বেঞ্চে বসেই তাঁরা ‘ইডি ইডি’ বলে চিৎকার শুরু করেন৷ এই চিৎকার শুনে প্রথমে সবাই ভেবেছিলেন একনাথ এবং ফডনবিশের নামের আদ্যাক্ষর(ই ডি) তুলে ধরে চিৎকার করা হচ্ছে৷ পরে সবাই লক্ষ্য করেন বিরোধী শিবিরের নিশানা হল শাসক শিবিরে থাকা মহিলা বিধায়ক যামিনী যশবন্ত যাদব৷ স্পিকার নির্বাচনের জন্য যামিনী ভোট দিতে যাওয়ার আগেই চিৎকার প্রবল হয়ে ওঠে৷ যামিনীর স্বামী শিন্ডে শিবিরের শিবসেনা নেতা এবং বৃহন্মুম্বই পুরসভার স্থায়ী কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান। সেই যশবন্ত যাদবের বিরুদ্ধে চলতে থাকা ইডি তদন্তের সূত্রেই এহেন চিৎকার, মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷