নির্ঘন্ট সময়ের আগে বর্ষা ঢুকেছে উত্তরবঙ্গে। এবং তারপর থেকেই অনবরত ভাসছে পাহাড়। মেঘ কুয়াশায় কালো হয়ে রয়েছে আকাশ। এবং এই সময় ধস নামার বহুলও সম্ভাবনা থাকে। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু মানুষ। তেমনই বুধবার মণিপুরে নেমেছে ভয়াবহ ধস। ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। রাজ্যের ৪ বাসিন্দা সহ মৃত ১৪, নিখোঁজ কমপক্ষে ৬০। জিরিবাম জেলার টুপুল অঞ্চলে রেললাইন পাতার কাজে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য টেরিটোরিয়াল আর্মি নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। আচমকাই ধস নামায় শ্রমিক, জওয়ান ও বহু গ্রামবাসী ভেসে যান। কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ জন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। এরমধ্যে ২৩ জন জওয়ান রয়েছেন। বুধবার রাতেই মণিপুরের ননে জেলার টুপুল রেলইয়ার্ডে কাজ চলাকালীনই ভয়াবহ ধস নামে। ওই জায়গাতেই রেললাইন পাতার কাজ চলছিল। ধসে কমপক্ষে ৮ জনের মৃত্যু ও কমপক্ষে ৫০ জন নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর মিলেছিল।
দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শুরু করা হয় উদ্ধারকাজ শুরু হয়। এদিন সকালে মণিপুরের ডিজিপি জানান, গতকাল যতটা আন্দাজ করা হয়েছিল, তার থেকেও ভয়াবহ আকার নিয়েছে এই ধস। এখনও অবধি ১৪ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। কমপক্ষে ৬০ জন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। ইজেই নদীর গতিপথ আটকে যাওয়ায় আশেপাশের অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল দুপুর থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। ধসের জেরে যে মাটি ধুয়ে গিয়েছে, তার মধ্যে থেকে ২৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও অবধি ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও শ্রমিকরা নিখোঁজ থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কমপক্ষে ৬০ জন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। এরমধ্যে গ্রামবাসী, সেনা জওয়ান, রেলওয়ের কর্মী ও শ্রমিকেরা রয়েছেন। যাদের দেহ এখনও অবধি উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রাজ্যের চার বাসিন্দাও রয়েছেন। দার্জিলিংয়ের চার বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের নাম দিবাকর রাণা, লাদুপ লামা, মিলন তামাঙ এবং ভুপেন রাই।
Read: প্রযুক্তির ব্যবহারে বন্ধ অনলাইন পরীক্ষায় টোকাটুকি – আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেল বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়
Tweet: প্রযুক্তির ব্যবহারে বন্ধ অনলাইন পরীক্ষায় টোকাটুকি – আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেল বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়
Monipur