এবার ১২০০ চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের উদ্যোগ শুরু করে দিল রাজ্যের ভূমি ও খাদ্য দফতর। নবান্ন সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছের ল্যান্ড রেকর্ডস ও সার্ভে ডিরেক্টরেটের বিভিন্ন অফিসে ৮৪৫ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে ভূমি দফতর। আবার খাদ্য দফতর ৩৫৫ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগের জন্যও প্রস্তাব পাঠিয়েছে নবান্নে। সেই দুই প্রস্তাব খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওয়েবেলটেকনোলজিকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, এই পদে নিয়োগ তাঁদেরই দেওয়া হবে যাদের নাম রাজ্যের শ্রমদফতরের এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নথিভুক্ত রয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন যে এগিয়ে আসছে সেই বিষয়েও বার বার ইঙ্গিত দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, বকেয়া কাজও দ্রুত মেটাতে বলছেন তিনি।
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, রাজ্যের ভূমি দফতর যে প্রস্তাব রাজ্য সরকারকে দিয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, তাঁদের জেলা, মহকুমা ও ব্লক স্তরের কার্যালয়গুলির জন্য ওই ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করতে হবে। প্রতিটি ব্লক স্তরের অফিসের জন্য ২ জন করে, মহকুমা স্তরের অফিসের জন্য ১জন করে এবং জেলা স্তরের অফিসের জন্য ৪জন করে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করতে হবে। রাজ্য ভূমি দফতরের ৩৪৬টি ব্লক অফিসে, ৬৫টি মহকুমা কার্যালয়ে ও ২২টি জেলা পর্যায়ের অফিসে মোট ৮৪৫ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে নেওয়া হবে। রাজ্যের ‘ই-ভূচিত্র’ ব্যবস্থা চালু হওয়ায় ভূমিদফতর ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৪৩,৩৭৫টি মৌজার জমির ডিজিটাল নথি প্রকাশ করেছে। ই-ভূচিত্রের মাধ্যমে মোট ৩১টি মডিউলের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে জমির সার্টিফায়েড নথি, প্লট ম্যাপ, জমির খতিয়ান সংশোধন, মিউটেশন, চরিত্র পরিবর্তন, বর্গা, পাট্টা-সহ বিভিন্ন পরিষেবা রয়েছে। এই সব পরিষেবা যথাযথ ভাবে ও দ্রুত প্রদানের জন্যই আরও কর্মীর প্রয়োজন। সেই সূত্রেই নিয়োগ হচ্ছে। অন্যদিকে, রাজ্যের খাদ্যদফতরেও রেশন কার্ড, দুয়ারে রেশন পরিচালনা, কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা-সহ নানা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের মাধ্যমে কাজকর্ম করার জন্য কর্মীর প্রয়োজন। তাই আরও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জরুরি। তাই তাঁরাও ৩৫৫ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগের জন্যও প্রস্তাব পাঠিয়েছে নবান্নে।