এবার চাঞ্চল্য ছড়াল কাকদ্বীপে। দেশের জলসীমা পেরিয়ে মাছ ধরতে যাওয়ার অভিযোগে আটকানো হল ১৩৫ মৎস্যজীবী। আটক ৮ টি ট্রেলার। মৎস্যজীবীরা সকলেই কাকদ্বীপের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের আটক করেছে বাংলাদেশ উপকূল রক্ষী বাহিনী। জানা গিয়েছে এরপর রক্ষীবাহিনী তাঁদের তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের হাতে। উল্লেখ্য, সরকারি মতে আটক ৬৮ মৎস্যজীবী, ট্রলার ৪ টি। জানা গিয়েছে, এই ঘটনা গত ২৪শে জুনের। তবে বিষয়টি জানা গিয়েছে গত ২৯শে জুন। এই রাজ্যের মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, আটক মৎস্যজীবীরা রয়েছেন বাংলাদেশের বাঘেরহাট জেলার মঙ্গলাপুর থানায়।
সূত্র অনুযায়ী, এই ঘটনা জানানো হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। তৎপর প্রশাসন। এই নিয়ে বারবার সচেতনতামূলক প্রচারও চালানো হয়। মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির আশঙ্কা, দেখা গেল এমন সময়ে আটকদের ছাড়া হয়েছে, সেই সময় মাছ ধরার মরশুম শেষ। এর ফলে অর্থনৈতিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাঁরা। আটকদের পারিবারিক অর্থনীতি ভাল নয় বলেই জানা গিয়েছে। কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে এই রাজ্যের কথা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত জানা গিয়েছে, ইলিশ মাছ ধরতে ধরতে ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছিলেন ওই মৎস্যজীবীরা। আরও জানা গিয়েছে, উপকূলবাহিনী নিয়মিত টহলদারি চালাচ্ছিল সীমান্তে, সেই সময়ই দেখতে পেয়ে আটক করা হয় কাকদ্বীপের ওই মৎস্যজীবীদের। তবে মৎস্যজীবীদের একাংশের দাবি, মাঝে মাঝেই ঢেউয়ের কারণে ট্রলার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, ফলে সীমান্ত পেরানো হয়ে যায়। ইচ্ছাকৃতভাবে সীমান্ত পেরোতে না চেয়েও। তাঁদের আরও দাবি, মাছের জাল জলের স্রোতে দূরে চলে গেলেও সীমান্ত পেরানো হয়ে যায়। তেমনই কিছু হয়েছে বলে অনুমান করছেন কাকদ্বীপের বাকি মৎস্যজীবীরা।