উইম্বলডন শুরুর আগে বড় ঘোষণা করলেন ইউক্রেনের টেনিস খেলোয়াড় আনহেলিনা কালনিনা। রাশিয়ার সামরিক অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁর বাবা, মার বাড়ি। রুশ বোমার আঘাতে বাড়িটি এখন বসবাসের অযোগ্য। তাই কালনিনার লক্ষ্য উইম্বলডনে যত বেশি সংখ্যক ম্যাচ জেতা। পুরস্কারের টাকায় বাড়ি সারাতে চান কালনিনা। সোমবার উইম্বলডনে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ জিতেছেন তিনি। হাঙ্গেরির আন্না বন্ডারকে ৪-৬, ৬-২, ৬-৪ ব্যবধানে হারিয়ে সিঙ্গলসের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছেন কালনিনা। প্রতিযোগিতার ২৯ নম্বর বাছাই চান যত বেশি সম্ভব ম্যাচ জিততে। উইম্বলডনে যত এগোবেন, তত বেশি অর্থ জিতবেন পুরস্কার মূল্য হিসাবে। সেই টাকা দিয়েই বাবা-মার বাড়ি সারাতে দিতে চান।
উল্লেখ্য, প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ জেতার পর ইউ্রক্রেনের ২৫ বছরের খেলোয়াড় বলেছেন, “বাবা-মাকে এখন আমার বাড়িতে এনে রেখেছি। আমার স্বামী এবং আমার সঙ্গেই ওরা রয়েছে। ইরপিনে ওদের বাড়িটা মার্চ মাসেই ক্ষতিগ্রস্ত রুশ হামলায়। ছাদে একটা বিরাট গর্ত হয়ে গিয়েছে।” রাজধানী কিভের কাছেই ছোট্ট শহর ইরপিন প্রায় ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। কালনিনা আরও বলেছেন, “ওদের বাড়িটা নতুন করে তৈরি করতে হবে। বাড়িটা এখন বসবাস করার মতো অবস্থায় নেই। ওই এলাকার কোনও বাড়িই অক্ষত নেই। আমার বাড়িতে ওরা ভালই আছে এখন। আমাদের জায়গাটায় ভয় অনেকটা কম। ওরা শান্তিতে থাকায় আমি নিশ্চিন্তে টেনিস খেলতে পারছি।”
প্রসঙ্গত, উইম্বলডনে খেলাও নিশ্চিত ছিল না কালনিনার। এ নিয়ে বলেছেন, “আমি এখানে আসতে পেরেছি, এটাই অনেক। বিভিন্ন প্রতিযোগিতা খেলতে পারছি। যত বেশি জিতব, তত বেশি উপার্জন করতে পারব। পরিবারের সকলের মুখই এখন আমার ভাল খেলার জেদ বাড়াচ্ছে।” কালনিনা বলেছেন, “আমি বড় খেলোয়াড় নই। কত দূর পৌঁছতে পারব জানি না। জয় নিয়ে ভাবছি না। চেষ্টা করব যত বেশি সম্ভব ম্যাচ জেতার। আমার কাছে জেতাটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এখন। ঠাকুরদা-ঠাকুমাকেও দেখতে হচ্ছে আমাকে। ওঁরা যে জায়গায় থাকেন, সেই জায়গাটা এখন কার্যত রুশ সেনার দখলে। যত বেশি জিতব, তত বেশি সকলকে সাহায্য করতে পারব।”