বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথে তৃণমূল। মঙ্গলবার সেসব নথি নিয়ে রাজভবনে পৌঁছলেন শাসকদলের নেতামন্ত্রীরা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কুণাল ঘোষের হাতে একটি বাদামি খাম রয়েছে। সেই খামেই রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের লেখা চিঠি, এমনই অনুমান রাজনৈতিক মহলের। গত সপ্তাহে সল্টলেকের এমপি-এমএলএ কোর্টের বাইরে সুদীপ্ত সেন কার্যত বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। জেলবন্দি সারদাকর্তা বলেছিলেন, “শুভেন্দু অধিকারী আমার থেকে অনেকবার টাকা নিয়েছেন। কত টাকা মনে নেই। তিনি আমায় ব্ল্যাকমেলও করতেন।” সেদিনই বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল বলেছিল, “এই চিঠি পৌঁছে দেওয়া হবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের কাছে। তারপর যদি দেখা যায় ধনকড় সেই চিঠি দিল্লীতে পাঠাচ্ছেন না তা হলে বুঝতে হবে শুভেন্দুর সঙ্গে দেনা-পাওনা রয়েছে তাঁর।”
উল্লেখ্য, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এদিন তৃণমূলের যাঁরা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ দু’জনের উপস্থিতি। এক, ‘নন্দীগ্রামের মা’ ফিরোজা বিবি এবং দুই, বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। প্রসঙ্গত ২০১১ সালে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন ফিরোজা। ২০১৬ সালে শুভেন্দুকে সেখানে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরোজা সেই থেকে পাশকুড়া পূর্বের বিধায়ক। তা ছাড়া রয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা, বিধানসভার উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়-সহ অন্যান্যরা। এখন পরিস্থিতি কোনদিকে এগোয়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।