গোটা দেশে নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে চলেছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। এর আঁচ এসে পড়েছিল বাংলার বিভিন্ন জেলাতেও। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে হাওড়া-সহ একাধিক এলাকায় সড়ক অবরোধ হয়। আগুনে পোড়ে গাড়ি-দোকান। এই ঘটনায় বিভিন্ন শহরের একাধিক থানায় নূপুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এদিন সরাসরি বিজেপির বহিষ্কৃত নেত্রীর নাম না নিয়ে সেই বিষয়েই বিজেপিকে তুলোধনা করলেন মমতা। মঙ্গলবার আসানসোলের কর্মীসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গেল, ”যখন আপনাদের নেতারা ধর্ম নিয়ে মিথ্যে বলেন, ঘৃণা ছড়ান, তখন আপনারা তাঁদের গ্রেপ্তার করেন না। সেই ব্যাপারে সম্পূর্ণ নীরব থাকেন। আপনারা খুন করলেও চর্চা হয় না। আমরা কথা বললেই খুনী বানিয়ে দেন! জুবেইরকে কেন গ্রেপ্তার করলেন? তিস্তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হল? ওঁরা কী করেছেন?” এদিনের কর্মী সভায় একাধিক প্রসঙ্গে বিরোধীদের তুলোধোনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “বিজেপি একটা অপদার্থ দল।” অগ্নিপথ প্রকল্পের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন তিনি। সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ।
সাংবাদিক মহম্মদ জুবেইরের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে সরব হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি নাম না করে তিনি উল্লেখ করলেন নূপুর শর্মার প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ”আমি নাম নেব না। আমরা নাম নিতে চাই না। কিন্তু যাঁরা ধর্ম তুলে গালাগালি করেন, তাঁদের আপনারা কেন গ্রেপ্তার করেন না? তবে আমাদের সরকার তাঁকে সমন পাঠিয়েছে। আমরা ছাড়ব না।” উল্লেখ্য, হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভঙ্গের অভিযোগে জেরবার নূপুর শর্মা। এদিকে গত রবিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে গুজরাটের সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদকে। শনিবার তাঁকে তাঁর বাড়ি থেকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয় তিস্তাকে। গত শুক্রবার ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে যারা উস্কানি দিচ্ছিল তাদের ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত। এদিকে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাংবাদিক মহম্মদ জুবেইরকে। সূত্রের খবর, তাঁকে জেরা করা হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই আদালতে পেশ করা হবে। এদিন সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতায়।