এবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সরব হয়ে আন্দোলনে নামছে তৃণমূল। বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন এই দুই নেতা। তৃণমূলের ঘোষণা মতো, সোমবার বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে তৃণমূল। সেখান হাজির থাকার কথা, বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, তৃণমূল যুব-র রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের। শুভেন্দুর রাজনৈতিক জীবনে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ওই দিন হলদিয়াতেও বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা, জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও একটি বিক্ষোভ সমাবেশ হবে বিরোধী দলনেতার বাড়ির কাছেই। কাঁথিতে আয়োজিত সেই বিক্ষোভ সমাবেশে হাজির থাকার কথা মৎস্যমন্ত্রী তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির। এর পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে তৃণমূলের আট জনের প্রতিনিধি দল সোমবার একই দাবি নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের কাছে যাবে বলেও ঠিক হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিধাননগরের সাংসদ-বিধায়কদের বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন। আদালত থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি যা বলেছেন, সাংবাদিক বৈঠকে তার ভিডিও তুলে ধরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে গ্রেফতারির দাবি জানান তৃণমূল মুখপাত্র। তৃণমূলের দাবি, আদালতে চিঠি দিয়ে সুদীপ্ত জানিয়েছেন, তাঁকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করে টাকা নিতেন শুভেন্দু। এ ছাড়াও নারদ কাণ্ডেও নাম রয়েছে তাঁর। শুভেন্দুর পাশাপাশি আসামের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও সারদা কাণ্ডে যোগের অভিযোগ রয়েছে আগে থেকেই। এখন তাঁর বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচায় যুক্ত থাকার অভিযোগে সরব হয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল, শিবসেনা-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিরোধীদের বক্তব্য, একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা বিধায়করা উদ্ভব ঠাকরের বিরোধিতা করে আসামে এসে ডেরা বেঁধেছেন। তৃণমূলের দাবি, এমন একজন দুর্নীতিপরায়ণ নেতার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেবে না সিবিআই-ইডির মতো সংস্থাগুলি? তাই সোমবার থেকেই ধারাবাহিক ভাবে শুভেন্দু-হিমন্তের গ্রেফতারির দাবিতে জোরদার আন্দোলনে নামতে চায় জোড়াফুল-শিবির।