উত্তরবঙ্গ বৃষ্টিতে ভাসলেও দক্ষিণবঙ্গে অধরাই বর্ষা। ভয়ঙ্কর গরম থেকে পড়ুয়াদের বাঁচাতে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছেমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল শিক্ষা দফতরও। কিন্তু, প্রশ্ন ছিল বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ে। গত সপ্তাহে সরকারি সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয় স্কটিশ চার্চ, ফিউচার ফাউন্ডেশন, লা মার্টিনিয়র, প্র্যাট মেমোরিয়ালের মতো বেশ কিছু স্কুল। বর্ষা এসে যাওয়াতে চার্চ অফ নর্থ ইন্ডিয়ার সব স্কুল খুলে যায়। ২০ জুন থেকেই খুলে যায় এই স্কুলগুলি। শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, স্কুল খোলার আগে স্যানিটাইজ করতে হবে। মেনে চলতে হবে যাবতীয় করোনা বিধি। পাশাপাশি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্কুলের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী এবং ছাত্রছাত্রীদের অবশ্যই কোভিড টিকা নেওয়া আবশ্যিক। আগামী ২৭ জুন থেকে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল। শুক্রবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, স্কুল খোলার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি মিলেছে। আগামী সোমবার থেকেই খুলছে স্কুল। করোনা নিয়ে আপাতত কোনও চিন্তার কারণ নেই। স্কুল খুলতেও স্বাস্থ্য দফতরের সম্মতিও পাওয়া গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এবার প্রবল গরমের কারণে রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছিল।
প্রাথমিকভাবে ১৫ জুন পর্যন্ত ছুটির ঘোষণা করেছিল রাজ্য। পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে ২৬ জুন পর্যন্ত করা হয়েছিল। ২৭ জুন থেকে স্কুল খুলছে। এদিকে স্কুল খোলার বিষয়ে শিক্ষা দফতর এক নির্দেশিকা জারি করেছে। বৃহস্পতিবার থেকে স্কুলগুলিকে প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারের মধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করতে বলা হয়েছে। শুক্রবার যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। তবে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসবে সোমবার থেকেই। শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, স্কুল খোলার আগে স্যানিটাইজ করতে হবে। মেনে চলতে হবে যাবতীয় করোনা বিধি। পাশাপাশি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্কুলের শিক্ষক, কর্মচারী এবং ছাত্রছাত্রীদের অবশ্যই কোভিড টিকা নেওয়া আবশ্যিক। সঙ্গে স্কুলে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে স্যানিটাইজার। আলাদভাবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে স্যানিটাজারের বন্দোবস্ত রাখতে বলা হয়েছে। স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। এদিকে, কোভিডের পাশাপাশি ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপও বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রী তথা স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বাঁচাতে যাতে সব রকম ব্যবস্থা রাখা হয় সেই বিষয়েও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। স্কুলের কোথাও যাতে জল না জমে থাকে সে বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে সচেতন করা হয়েছে।