দুয়ারে উপনির্বাচন। ঠিক তার আগে কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মণের উপর হামলার অভিযোগ উঠল। তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। আপাতত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। চিকিৎসকদের মতে, তাঁর অবস্থা এখনও স্থিতিশীল নয়। রক্তক্ষরণ হয়েছে। আরও কিছুদিন হাসপাতালে রাখতে হবে সুদীপ রায় বর্মণকে।
রবিবার প্রচারের পরে সুদীপের উপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই পুলিসে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, এর আগেও বহু ঘটনায় পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি।
সুদীপ রায় বর্মণের হামলার ঘটনায় তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, ‘ত্রিপুরায় কোনও গণতন্ত্র নেই। সেখানে বিজেপি নেতৃত্ব পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে এ ধরণের ঘটনা ঘটাচ্ছেন। কারণ তারা ভয় পেয়েছে। এখানে বিজেপি হঠাৎ ক্ষমতায় এসে অপশাসন চালিয়ে জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তাই কখনও তৃণমূল, কখনও কংগ্রেসের মতো বিরোধীদলগুলিকে আক্রমণ করছে।’
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস একঝাঁক নেতৃত্ব রয়েছেন আগরতলায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়, কুণাল ঘোষের মতো নেতারা রয়েছেন সেখানে। সোমবার দুটি কর্মসূচি রয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আসন্ন উপ-নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করবেন তিনি।