দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বই থেকে বাতিল করা হল ২০০২ সালের গুজরাত হিংসার অধ্যায়। বাদ পড়ল ইন্দিরা গান্ধীর আমলে দেশে জারি করা জরুরি অবস্থার কথাও। একই সূত্রে নকশাল আন্দোলন এবং আরও একাধিক রাজনৈতিক আন্দোলনের কথাও বাদ পড়েছে নয়া সিলেবাসে। ‘স্বাধীনতা-পরবর্তী ভারতে রাজনীতি’ শীর্ষক অধ্যায়ে এতদিন পড়ানো হত এই বিষয়গুলি।
এখানেই শেষ নয় অবশ্য। পরিবর্তনের আওতা থেকে বাদ যায়নি মধ্যযুগও। দ্বাদশ শ্রেণির পাঠক্রম থেকে মুঘল আমলের দরবার ও বিচারসভার প্রসঙ্গ এবং একাদশের পাঠক্রম থেকে এশিয়া-আফ্রিকায় মুসলিম সাম্রাজ্য বিস্তারের অধ্যায় বাদ পড়েছে নতুন সিলেবাসে। নয়া শিক্ষানীতি মোতাবেক ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাসে এই পরিবর্তনগুলি আনা হয়েছে, এই মর্মে সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং।
এই প্রথম নয়, বরং ইদানীং কালে বারে বারেই কোপ পড়েছে স্কুল-কলেজের সিলেবাসে। কখনও উত্তরপ্রদেশের পাঠ্যবই থেকে বাদ পড়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা প্রবন্ধ, কখনও দিল্লি ইউনিভার্সিটির ইংরেজি কোর্স থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে মহাশ্বেতা দেবীর লেখা দলিত মহিলার কাহিনি, কখনও আবার খোদ দলিত কবি-সাহিত্যিকদের লেখাই বাদ পড়েছে পাঠক্রম থেকে। চলতি বছরেই সিবিএসই পাঠক্রম থেকে বাদ পড়েছিল উর্দু কবি ফৈজ আহমেদ ফৈজের দুটি কবিতা, লাহোর জেলে বন্দি থাকার সময় যা লিখেছিলেন তিনি। তা ছাড়া রাজনৈতিক ইতিহাস থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছিল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ। দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সিলেবাস থেকে বাদ পড়েছিল ‘কোল্ড ওয়ার এরা অ্যান্ড নন-অ্যালাইন্ড মুভমেন্ট’, যেখানে মূলত দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরুর শাসনকাল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। এবারে সেই বদলের তালিকায় নয়া সংযোজন গুজরাটের হিংসাত্মক ঘটনার সেই কালো অধ্যায়।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দিক যখন বারেবারেই ধর্মীয় পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে, সেই সময়ে কেন্দ্রীয় দফতরের তরফে এই বিশেষ অধ্যায়টি পাঠক্রম থেকে বাদ দেওয়াকে সহজভাবে নিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
Read: রেললাইনে ডন বৈঠক – ব্যারাকপুর স্টেশনে অভিনব বিক্ষোভ আন্দোলনকারীদের, ব্যাহত পরিষেবা
Tweet: রেললাইনে ডন বৈঠক – ব্যারাকপুর স্টেশনে অভিনব বিক্ষোভ আন্দোলনকারীদের, ব্যাহত পরিষেবা
Education