অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে বুধবার থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। চলমান বিক্ষোভে বিহারে সবচেয়ে বেশি হিংসা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সেই অগ্নিপথ-প্রতিবাদ অব্যাহত শনিবারও। মোদী সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদ ঘিরে বিহারের পরিস্থিতি ক্রমশ অগ্নিগর্ভ হচ্ছে। বিহারের জেহানাবাদে বাস, লরিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি। আজ কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদে বিহারে বনধের ডাক। অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় আজ বিহার বনধের ডাক দিয়েছে অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। ২৪ ঘণ্টার বনধ ডাকা হয়েছে। বিহারের সমস্ত বিরোধী দল এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে। বিহারের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ট্রেন অগ্নিসংযোগ, অবরোধ, রেল রোকো চলছে।
রাষ্ট্রীয় জনতা দল, হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা, এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টি, মতো দলগুলি সেই বনধকে সমর্থন করেছে। এদিকে আজ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিহারের ১২টি জেলায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। দারভাঙ্গা ও সমস্তিপুরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী রেণু দেবী এবং বিহার বিজেপির সভাপতি ও পশ্চিম চম্পারন সাংসদ সঞ্জয় জয়সওয়ালের বাড়িতে হামলা হয়। গত কয়েকদিনে মুজাফফরপুর, বেগুসরাই, বক্সারে বিক্ষোভের ফলে রাজ্যে রেলওয়ে ট্র্যাফিক অবরুদ্ধ করা হয়েছে এবং ট্রেনের কোচে আগুন দেওয়া হয়েছে। এখন অবধি, কর্তৃপক্ষ গত তিন দিনে প্রায় ৩২০ জনকে গ্রেফতার করেছে এবং রাজ্যে হিংসা ও বিক্ষোভের জন্য ৬০টি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে।