শুক্রবার শুক্রবার তৃণমূল ভবেন প্রস্তুতি বৈঠক সারলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন একুশে জুলাইয়ে কীভাবে সমাবেশের আয়োজন করা হবে, তা স্থির করা হল এদিন। বৈঠকে অংশ নেন দলের নেতারা। প্রতি বছর একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে দলের গোটা বছরের কর্তব্য ঠিক করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র বিরোধী লড়াইয়ের অভিমুখ কী হবে তা স্পষ্ট করে দেন তৃণমূল নেত্রী। এই প্রস্তুতি বৈঠকে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, “একুশের সমাবেশের জন্য ১০ পয়সাও চাঁদা তোলা যাবে না। যদি কেউ দলের নির্দেশ অমান্য করে চাঁদা আদায় করে, তবে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করা হবে বহিষ্কার।” পাশাপাশির এদিনের বৈঠকে উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের আরও বেশি করে সমাবেশে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই আশা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন প্রস্তুতি বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, একুশে জুলাই ধর্মতলায় জনোচ্ছ্বাস হবে। রাজপথ পরিণত হবে জনপথে। তিনি বলেন, কোভিডের কারণে গত দু’বছর ধরে জনসভা করা যায়নি। কিন্তু এই বছর ফের আগের মতো শহীদ তর্পণ ও জনসভা করা হবে। এবারের সভায় অন্যান্য রাজ্য থেকেও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন। সাংবাদিক সম্মেলনে পার্থ আরও বলেন, “সারা দেশ তাকিয়ে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। আজকের পর থেকে বুথ স্তরে প্রচার চলবে- ধর্মতলা চলো।” ওই মঞ্চ থেকে দলনেত্রী কী বার্তা দেন তার দিকেই চেয়ে আছে জনসাধারণ ও রাজনীতির কারবারিরা।