ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার একটা বড় অংশ পড়ে উত্তরবঙ্গে। ওই এলাকার আবার একটা বড় অংশ কৃষিজমি। আর ওই জমিতে কৃষকরা মূলত পাট ও ভুট্টার চাষ করে থাকে। আর এখানেই সমস্যা তৈরি হয়েছে।
কেন? দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বুধবার বিধানসভায় জানান, ‘জিরো পয়েন্টের ১৫০ গজ ভিতরে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। তাই কৃষকদের দুই পাড়েই যেতে হয় চাষের জন্য। ওই জমিতে মূলত পাট ও ভুট্টা চাষ ভালো হয়। এলাকার অর্থনীতিও এর উপরেই নির্ভরশীল। কিন্তু সেই চাষ করতে বাধা দিচ্ছে বিএসএফ। পাট উঁচু গাছ হওয়াতে তাঁদের নজরদারিতে সমস্যা হচ্ছে। এই অজুহাতে চাষ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টাতে হস্তক্ষেপ করে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধান করুক কৃষিমন্ত্রী’। বিষয়টা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে তিনি আলোচনা করবেন বলেও জানিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
উদয়ন গুহ বলেন, ‘সমস্যাটা শুধুমাত্র কুচবিহার জেলার না। উত্তরবঙ্গের সমগ্র কৃষকের অর্থকরি ফসল হচ্ছে পাট। এখন অনেক ক্ষেত্রে ভুট্টার চাষ করছেন কৃষকরা। সীমান্তবর্তী এলাকায় জিরো পয়েন্টের দেড়শো গজ ভিতরে কাঁটাতার রয়েছে। এখন বিএসএফের তরফে বলা হচ্ছে পাট চাষ করলে ভুট্টা চাষ করলে ওদের নাকি দেখতে অসুবিধা হয়। তার জন্য চাষ করতে বাধা দিচ্ছে। অথচ সেখানে উঁচু উঁচু টাওয়ার রয়েছে নজরদারি চালানোর জন্য। তা সত্ত্বেও বারবার কৃষকদের উপর জুলুম চালানো হচ্ছে। এমনকী শারিরীক আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে কৃষকদের। টিফিন বক্স খুলেও দেখা হচ্ছে পাটের বীজ নিয়ে যাচ্ছে কীনা। আমি আজকে বিধানসভায় কৃষি মন্ত্রীকে বলেছি উনি যাতে এই বিষয়ে উদ্যোগ নিয়ে কেন্দ্রের সাথে আলোচনা করে। কৃষক যাতে এই সব ফসল চাষ করতে পারে। এটা শুধু কৃষকের সমস্যা না। গোটা এলাকা এর উপরে নির্ভরশীল। এটা বন্ধ হয়ে গেলে এলাকায় আর্থিক মন্দা দেখা দেবে’।