অগ্নিপথ প্রকল্পে চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। আর এবার তারই প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ বিহার। নীতিশ রাজ্যের নানা প্রান্তে শুরু হয়েছে প্রবল বিক্ষোভ। ক্রমশ যা হিংসাত্মক হয়ে ওঠায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই আবহেই ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
বুধবার তিনি বলেন, এটি সশস্ত্র বাহিনীর কার্যকারিতা হ্রাস করবে, যার মর্যাদা এবং বীরত্বের সঙ্গে আপস করা উচিত নয়। পাশাপাশি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও মোদী সরকারকে আক্রমণ করে বলেন যে কেন তারা সেনাবাহিনীতে নিয়োগ নিয়েও গবেষণা করছে। এই প্রকল্পের ঘোষণার আগে কোনও গুরুতর চিন্তাভাবনা বা পরামর্শ নেওয়া হয়নি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ওই প্রকল্পে সাড়ে ১৭-২১ বছরের তরুণ-তরুণীরা চার বছরের জন্য মাসিক ৩০-৪৫ হাজার টাকার চুক্তির ভিত্তিতে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখায় (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) যোগ দিতে পারবেন। তাঁদের বলা হবে ‘অগ্নিবীর’। সেনায় শূন্যপদ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চতুর্থ বছরের শেষে সেই ব্যাচের সর্বাধিক ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরকে সেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাকিদের ১১-১২ লক্ষ টাকা হাতে দিয়ে পাঠানো হবে অবসরে। থাকবে না কোনও পেনশন।
এ নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধনা করে টুইটে রাহুল লেখেন, ‘কেন বিজেপি সরকার সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগকে তাদের পরীক্ষাগার করছে? সরকার কি সৈনিকদের দীর্ঘ সেবাকে বোঝা মনে করছে? যুবকরা বলছে এই চার বছরের চাকরি একটি প্রতারণা। আমাদের প্রাক্তন সেনা আধিকারিকরাও এর সঙ্গে একমত নন। সেনা নিয়োগের সংবেদনশীল ইস্যুতে কোনও গুরুতর চিন্তাভাবনা নেই, কেবল স্বেচ্ছাচারিতা ছাড়া।’ তাঁর সাফ কথা, ‘বিজেপি সরকারকে আমাদের বাহিনীর মর্যাদা, ঐতিহ্য, বীরত্ব এবং শৃঙ্খলার সঙ্গে আপস করা বন্ধ করতে হবে।’