মমতার হাতেই কী রাইসিনার চাবিকাঠি? দিল্লিতে বিরোধী নেতাদের বৈঠকের আগে থেকে সে প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছিল রাজনৈতিক মহলে। এদিনের বৈঠকে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন মমতা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর লাগাতার আঘাত আসছে। কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। বিরোধীদের কন্ঠরোধ করতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। সব বিরোধীদের টার্গেট করা হচ্ছে। রাজ্যপালের অফিস বেনজির ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের কাজে সবরকমভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে’।
এদিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনী বিরোধী মুখ ঠিক করতে এদিন দিল্লির বৈঠকে যোগ দেন মেহবুবা মুফতি, শরদ পাওয়ার, প্রফুল পটেল, অখিলেশ যাদবের মতো নেতারা। কংগ্রেসের তরফে যোগ দেন জয়রাম রমেশ, রণদীপ সুরজেওয়ালা এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে। ডিএমকে-র তরফে এসেছিলেন টিআর বালু। শিবসেনার তরফে আসেন সুভাষ দেসাই এবং প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী। বৈঠকে যোগ দেন দেবেগৌড়া এবং তাঁর পুত্র কুমারস্বামী।
তবে বৈঠকে শেষবেলা পর্যন্ত কোনও বিরোধী মুখ ঠিক হয়নি বলে জানা যায়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, ‘দু-একটি দল বৈঠকে আসেনি তাদের হয়ত অন্য কোনও কারণ রয়েছে, অথবা তাঁরা কোনও কাজে ব্যস্ত। বৈঠকে আমরা সর্বসম্মতভাবে শরদ পওয়ারের নাম প্রস্তাব করেছিলাম। তিনি রাজি হলে সকলে তাঁকে সমর্থন করবে, রাজি না হলে, যৌথভাবে আলোচনার ভিত্তিতে একজনকে প্রার্থী করা হবে’।