চিতার দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে কাশ্মীরের স্থানীয় বাসিন্দাদের। গত কয়েক দিনে উরির পাহাড় ও জঙ্গল লাগোয়া কালসান ঘাটি ও বোনিয়ার এলাকায় ওই ৩ শিশুর উপর হামলা চালায় চিতাবাঘ। তাতেই তাদের মৃত্যু হয়। বস্তুত প্রাণভয়ে স্থানীয়রা ঘরের বাইরে বেরোতে পারছেন না। এই অবস্থায় মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে চিতাটিকে ধরা, অন্যথায় হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন বারামুলার ডেপুটি কমিশনার সৈয়দ সেরিশ আসগর সেই মতোই স্থানীয় পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। প্রয়োজনে সেনা ও আধাসেনার সাহায্য নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বারামুলার ডেপুটি কমিশনার।
ডিসি জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরেই পরিস্থিতির বিচারে চিতাটিকে ধরা অথবা মারার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের প্রয়োজন ছাড়া জঙ্গলের দিকে যেতে বারণ করা হয়েছে। জঙ্গলে শিশুরা যাতে কোনওমতেই একা না যায়, তা দেখতে বলা হয়েছে অভিভাবকদের। চিতা হামলা থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয়দের জন্য বেশকিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে প্রশাসন। প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের চা বাগানে, এমনকী লোকালয়ে চিতাবাঘের ঢুকে পড়া নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত সপ্তাহেই মেটেলি ব্লকের ইনডং চা বাগানে এক মহিলা চা শ্রমিকের উপর হামলা চালায় চিতা। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিনি।
বাগানের বি সেভেন সেকশনে কাজ করার সময় চা শ্রমিক মিনা মুন্ডার উপর হামলা চালিয়েই চিতাটি ফের বাগানে ঢুকে পড়ে বলে জানা গিয়েছিল। জম্মু-কাশ্মীরে উরির বেশ কিছু এলাকায় লোকালয়ের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে পাহাড়ি চিতাবাঘ। ইতিমধ্যে চিতার হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৩ শিশুর। গত কয়েক দিনেই এই ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতির চাপে নড়চড়ে বসেছে প্রশাসন। মঙ্গলবারই ‘মানুষখেকো’ ওই চিতাবাঘটিকে খাঁচাবন্দি করতে বন দপ্তর ও পুলিশ উদ্যোগ নেওয়া শুরু করেছে। ধরা না গেলে লোকালয়ের নিরাপত্তার খাতিরে প্রাণীটিকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন বারামুলার ডেপুটি কমিশনার। বাঘের হামলা থেকে বাঁচতে স্থানীয়দের জন্য বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
Read: রেলের জমিতে দোকান ঘর ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদ – পাল্লা রোড স্টেশনে ট্রেন অবরোধ স্থানীয়দের
Tweet: রেলের জমিতে দোকান ঘর ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদ – পাল্লা রোড স্টেশনে ট্রেন অবরোধ স্থানীয়দের
Jammu Kashmir