আজ ত্রিপুরায় বিশাল ব়্যালি করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে চলতি মাসের শেষে ত্রিপুরার ৪ আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন। তার জেরেই আর সেই ভোটের প্রচারে ত্রিপুরায় বিশাল ব়্যালি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ব়্যালি শেষে বরদোয়ালি বিধানসভার অন্তর্গত জিবি বাজারে সভাও করেন তিনি। আর সেই সভামঞ্চ থেকে একযোগে বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অভিষেক। মুখ খুললেন তাঁর বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়েও। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুযোগ্য সেনাপতির স্পষ্ট বার্তা, “আমরা একটু অন্যরকম দল। আমাদের ধমকে চমকে লাভ হবে না।” ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বদল থেকে সিবিআই হানা, কংগ্রেস থেকে সিপিএম নিয়ে আর কী কী বললেন অভিষেক?
২০১৮, ২০১৯, ২০২০, ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী বদল করলেন না। তাহলে ২০২২ সালে মুখ্যমন্ত্রী বদল কেন? কারণ তৃণমূল এখানে এসেছে। ভয় পেয়েছে ওরা। কিন্তু তোমার তো কাপড় ছিঁড়ে গিয়েছে, তাপ্পি দিয়ে কীভাবে চলবে? যতদিন গিয়েছে তত ভীতসন্ত্রস্ত হয়েছে বিজেপি। ২০২২ সালে মুখ্যমন্ত্রী বদলেছে, ২০২৩ সালে সরকার বদলাবে। দেখুন আজ আমি ত্রিপুরা সেছি বলে আমার স্ত্রীকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আমি যাতে এখানে আর না আসতে পারি। কিন্তু আমাদের দল অন্যরকম, ধমকে চমকে লাভ হবে না। অন্যদলের মতো আমরা চুপ করে বসে থাকব না। একদিকে পাথর ছুঁড়ছে তো অন্যদিকে সিবিআই পাঠাচ্ছে।
তিনি বলেন, কোথায় আচ্ছে দিন? মুখে বলে, আচ্ছে দিন আসছে। বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন বলে রান্নার গ্যাসের দাম হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। পেট্রল-ডিজেলের দাম আকাশছোঁয়া। বাংলায় হেরেছে বলে দু’বার পেট্রলের দাম কমিয়েছে বিজেপি। ডবল ইঞ্জিন সরকার স্রেফ ভাঁওতাবাজি, দু’ নম্বরই। ডবল চোরের সরকার। ওদিকে দিল্লীতে বলছে চুরি করুন। এদিকে ত্রিপুরায় বলছে চুরি কর। ওখানে সিবিআই-ইডি কিছু বলবে না, এখানে ত্রিপুরা পুলিশও কিছু বলবে না। কংগ্রেসের সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না। কাল আমি ভিডিও পেয়েছি। ৫ হাজার টাকা দিয়ে ছাদে নিয়ে গিয়ে দলে যোগ দেওয়াচ্ছে। ত্রিপুরা তো ওদের আগেও সুযোগ দিয়েছিল। আগস্ট মাস থেকে তৃণমূল ত্রিপুরায় সংগঠন তৈরি করছে। আমাদের উপর বারবার হামলা হয়েছে। আমার কনভয়ে হামলা হয়েছে। আমি আসব শুনলেই ভয় পেয়ে হামলা করে।