তাঁর বিরুদ্ধে বোমা তৈরি করার অভিযোগ উঠতেই রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ময়না থানা এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় তাঁতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর সেই গ্রেফতারির পরই সামনে আসে যে সঞ্জয় তাঁতি বিজেপির সমর্থক হিসাবেই পরিচিত। এলাকায় রাজনৈতিক ক্ষমতার বলে তিনি যা খুশি তাই করে বেড়ান। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ দায়ের হয় বলেও জানিয়েছে পুলিশ। তৃণমূলের দাবি, এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে সঞ্জয় তাঁতিদের মদত দিচ্ছে বিজেপিই। বাকচার মতো এলাকাকে অশান্ত করতে এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।
ময়না থানার বাকচা গ্রামপঞ্চায়েতের গোড়ামাহাল গ্রাম। সেখানেই ঘুঘুরপুল এলাকা। রবিবার রাতে ময়না পুলিশের কাছে খবর যায়, সেখানে নতুন করে বোমা বাঁধা চলছে। শুনেই বিরাট দল নিয়ে হাজির হয় ময়না থানার পুলিশ। ময়না থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপাল পাঠক বলেন, ‘গোড়ামাহাল গ্রামে সঞ্জয় তাঁতি সাগরেদদের নিয়ে বোমা বাঁধছে বলে আমাদের কাছে খবর আসে। ঘুঘুরপুলে বোমা বাঁধছিল ওরা। এরপরই বিরাট টিম নিয়ে আমরা যাই। এখনও অবধি মোট ৯৫ পিস বোমা, ১৫ কেজি বোমা তৈরির মশলা, যেমন পেট্রোল, কেরোসিন, সপ্লিন্টার তৈরির জন্য পেরেক, স্টোনচিপ, দড়ি আমরা বাজেয়াপ্ত করেছি।’ তিনি এ-ও জানান, সঞ্জয় তাঁতি ছাড়াও ঘটনাস্থলে আরও পাঁচজন ছিল। তারা অন্ধকারে পালিয়ে যায়। এবং যাওয়ার সময় পুলিশের উপর বোমাও ছোঁড়ে। যদিও কারও কোনও ক্ষতি হয়নি।
এরইমধ্যে অভিযোগ ওঠে সঞ্জয় বিজেপির লোক। যা ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতর তৈরি হয় এলাকায়। তৃণমূলের ময়না ব্লক সভাপতি সুব্রত মালাকার বলেন, ‘তিন চার বছর ধরে বিজেপি এখানে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আমরা বারবার পুলিশকেও তা জানিয়েছি। আমরা সবসময় বাকচাকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু বিজেপি শান্তি চায় না। আগামী বছর পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে বিজেপি চায় বাকচা অশান্ত করতে। সঞ্জয় তাঁতি একটা দাগী অপরাধী। এর আগেও ও ধরা পড়েছে। একবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ধরাও পড়ে। অনেক মামলা এর বিরুদ্ধে। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা মারা, বাড়িতে বোমা তৈরি করা, আগ্নেয়াস্ত্র গচ্ছিত রাখা। এর বিরুদ্ধে তদন্ত হলে আরও অনেকে ধরা পড়বে।’
Read: রাষ্ট্রপতি ভোটকে সামনে রেখে বিরোধীদের এক ছাতার তলায় আনাই টার্গেট – আজই দিল্লী যাচ্ছেন মমতা
Twitter: রাষ্ট্রপতি ভোটকে সামনে রেখে বিরোধীদের এক ছাতার তলায় আনাই টার্গেট – আজই দিল্লী যাচ্ছেন মমতা
BJP