এবারে প্রবল কটাক্ষের শিকার হলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রসঙ্গত, কদিন আগেই তিনি বলেছিলেন, ইচ্ছে করলেই ইতিহাস বদলে দিতে পারেন তাঁরা। যে মন্তব্যের জেরে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এবার শাহকে ‘কলেজ ড্রপআউট’ বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। কয়েকদিন আগেই শাহকে প্রকাশ্যে বলতে শোনা গিয়েছে, এ দেশে পান্ড্য, চোল, মৌর্য, গুপ্তদের উপেক্ষা করে ইতিহাসে কেবল মোঘলদেরকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আবার নতুন করে দেশের ইতিহাস লেখার কথাও বলেন শাহ। ১১ই জুন তৃণমূলের তরফে শাহের সেই বক্তব্যের পাল্টা জবাব দেন সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর কথায়, “ইতিহাসটা বিকৃত হয়েছে নাকি বিকৃত হয়নি, তা জানতে গেলেও ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা প্রয়োজন। সেজন্য কালিকলমের আঁচড় থাকা দরকার।”
পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, তিনি ওয়েবসাইটে দেখেছেন, সে ভদ্রলোক এমন বলছেন তাঁর নামের পাশে শিক্ষাগত যোগ্যতার জায়গায় লেখা রয়েছে ‘SY BSC’। এরপরেই তৃণমূল সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, এমন শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা আদৌ কি কেউ কোনদিন শুনেছে? এই SY এর অর্থ হল সেকেন্ড ইয়ার। অর্থাৎ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষেই বিদ্যাকে বিদায় জানিয়েছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তারপর শাহকে ‘কলেজ ড্রপআউট’ বলেও আক্রমণ শানান তৃণমূল সাংসদ। সুখেন্দুশেখর আরও জানান, “অমিত শাহ যদি দেশের ইতিহাস নিয়ে ভাবছেন, এটা সত্যিই দেশের জন্য ভয়ঙ্কর। আগামী প্রজন্মের জন্যও ভয়ঙ্কর।” তিনি শাহকে স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছেন যে, বাবর বা আকবর কোন ইতিহাস লিখে যাননি। দেশের ইতিহাস যাঁরা লিখে গিয়েছেন তাঁরা সবই মূলত ইংরেজ ঐতিহাসিক। পরবর্তীকালে ভারতীয় ঐতিহাসিক অর্থাৎ অমিত শহাদের কথা অনুযায়ী হিন্দু ঐতিহাসিকরাই ইতিহাস রচনা করেছেন। তিনি আরও বলেন, “ইতিহাসিক হিন্দু না মুসলিম না পার্সি না পর্তুগিজ তা নিয়ে তারা ভাবেনই না। ঐতিহাসিকদের একটাই পরিচয় তারা ঐতিহাসিক। ইতিহাস যদি বিকৃত হয়ে থাকে তবে তা বিজেপিমনস্কদের কারণেই হয়েছে এবং তাঁদের দ্বারা হয়েছে।” পাশাপাশি, বিজেপির ধর্মান্ধ মানসিকতাকেও একহাত নিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।