হাসপাতাল, জেলা প্রশাসন-সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি কেউই। তাই একরত্তি মেয়ের মৃতদেহ কোলে করেই, হেঁটে গ্রামে ফিরতে হল বাবাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই লজ্জায় মাথা হেট হয়ে গিয়েছে নেটাগরিকদের। প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের ছত্তরপুর জেলায়। ৪ বছরের এক শিশুর মৃতদেহ বহন করার জন্য হাসপাতালের তরফে কোনও অ্যাম্বুলেন্স বা মৃতদেহ বহনকারী গাড়ির ব্যবস্থা না করায়, তাঁর বাবাকেই কোলে করে দেহ বহন করে আনতে হয়।
জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার শিশুটির মৃত্যু হয়। শিশুটির পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহের সোমবার ৪ বছরের শিশুটি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে ছত্তরপুরের বক্সওয়াহা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে শিশুটির অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় পরিবারের তরফে পার্শ্ববর্তী দামোহ জেলার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবারই শিশুটির মৃত্যু হয়।
শিশুটির দাদু মনসুখ আহিরওয়ার জানান, শিশুটির মৃত্যুর পর হাসপাতালের কর্মীদের একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে বলা হয়। কিন্তু হাসপাতালের কর্মীরা কোনও ব্যবস্থা না করায়, বাধ্য হয়ে শিশুটির দেহ কম্বলে জড়িয়ে তাঁরা বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। বাসে করেই শিশুটির দেহ বক্সওয়াহায় আনা হয়।
বক্সওয়াহায় পৌঁছেও শিশুটির বাবা লক্ষ্ণণ আহিরওয়ার নগর পঞ্চায়েতের কাছে যান পৌডি গ্রাম অবধি একটি গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারাও অস্বীকার করেন। বাধ্য হয়েই শিশুকে কোলে নিয়েই তাঁর বাবা হাঁটতে হাঁটতে গ্রামে ফেরেন।
যদিও দামোহ হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডঃ মমতা তিমোরি জানান যে, শিশুটির পরিবারের কেউই শববাহী গাড়ির জন্য কথা বলেননি। হাসপাতালেরই নিজস্ব শববাহী গাড়ি রয়েছে। এছাড়া রেড ক্রস বা অন্য কোনও এনজিও সংস্থা থেকেও গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়া যেত বলে জানান তিনি।